সভা শেষে জানানো হয়, অনার্স চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের যেসব শিক্ষার্থী কোভিড-১৯-এর অন্তত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন, তাঁরা স্বাস্থ্যবিধি এবং অন্যান্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করে গ্রন্থাগার ব্যবহার এবং নিজ নিজ হলে উঠতে পারবেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের কার্ড/সনদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ পরিচয়পত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দেখাতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আজ রোববার থেকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগীয়/ইনস্টিটিউটের সেমিনার লাইব্রেরি ব্যবহার করতে পারবেন।
অপরদিকে, আবাসিক শিক্ষার্থীরা আগামী ৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে নিজ নিজ হলে উঠতে পারবেন। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা/কর্মচারীদেরও টিকা গ্রহণের সনদ/প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি আবাসিক হল ও অ্যাকাডেমিক ভবনের দৃশ্যমান জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশিকা সম্বলিত ব্যানার/ফেস্টুন থাকবে।
টিকা গ্রহণ সাপেক্ষে পর্যায়ক্রমে অনার্স প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য নিজ নিজ আবাসিক হল খুলে দেওয়া হবে। আবাসিক হলগুলোতে আগের মতো ঠাসাঠাসি করে বসবাস করা এবং কথিত ‘গণরুম’ রাখা যাবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু নিয়মিত আবাসিক শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করবেন। সভায় হল ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী টিকা কার্যক্রমের আওতায় আসার পর সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রমের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে টিকা প্রদান কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থী এখনও টিকার জন্য নিবন্ধন করেননি, তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ দিয়ে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের আওতায় এসে টিকা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।