এনবি নিউজ : মার্কিন সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে আফগানিস্তান নিরাপদ ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
তার মতে, দুই দশকে মার্কিন বাহিনীর উপস্থিতির কারণে ওই অঞ্চলটি নিরাপদ ছিল না। বিপরীতে, প্রতিদিন আরও রক্তপাত হয়েছে। খবর ইয়েনি শাফাকের।
রোববার যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিবিএস নিউজের সাংবাদিক মার্গারেট ব্রেননকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
সম্প্রতি তুরস্ককে কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিচালনার প্রস্তাব দিয়েছে আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার। সিবিএসের সাক্ষাৎকারে এরদোগানকে প্রশ্ন করা হয়, তালেবান সরকারের এই প্রস্তাব তুরস্ক গ্রহণ করবে কিনা।
জবাবে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক নয়। যতদিন পর্যন্ত সব অংশ ও শ্রেনীর প্রতিনিধিত্ব করে- এমন একটি সরকার দেশটিতে প্রতিষ্ঠিত না হচ্ছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে কোনো প্রকার চুক্তিতে যেতে তুরস্ক প্রস্তুত নয়।
এরদোগান বলেন, তবে দেশটির বর্তমান সরকার যদি সত্যিকার অর্থেই নিজেদেরকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়, সেক্ষেত্রে তুরস্ক অবশ্যই আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিতে যাবে।
মার্গারেটের সঙ্গে আলাপকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার সুযোগ দেওয়া হয়নি আমাদের। একই সঙ্গে ১.৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ পরিশোধের পরও এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানের ডেলিভারি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জোর আপত্তি সত্ত্বেও দ্বিতীয় দফায় আরও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার কথা ভাবছে তুরস্ক।
সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের অংশ হিসেবে ২০০১ সালে যখন আফগানিস্তানে অভিযান শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো, সেই অভিযানের অংশ নিয়েছিল তুরস্কও।
তালেবান বাহিনী আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশসমূহের মতো তুরস্কও দূতাবাস কর্মী ও নিজ দেশের নাগরিকদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করেছে।
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473