ডিএমপির ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, পারভীন তিন দিন ধরে নিখোঁজ জানিয়ে তার স্বামী ওয়ারী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
“পুলিশ তাকে (পারভীন) খুঁজতে গিয়ে এই (সজীবের) মৃতদেহ পায়।”
এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে স্বামীবাগের একটি বাসার চতুর্থ তলা থেকে সজীবের লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের তিন টুকরা ঘরের মেঝেতে এবং দুই টুকরা টয়লেটে পাওয়া যায়।
পুলিশের ভাষ্য, সজীবের সঙ্গে পারভীনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে কারণে পারভীন তার স্বামীর বাসা থেকে তিন দিন আগে টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে সজীবের বাসায় ওঠেন।
জিডি হওয়ার পর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে পারভীনের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে সজীবের বাসায় যায় পুলিশ। সেখানে পারভীনকে পাওয়ার পাশাপাশি সজীবের লাশও মেলে।
পারভীনকে সন্দেহের কারণ জানতে চাইলে উপ-কমিশনার ইফতেখার বলেন, “সজীবের সঙ্গে থাকতে গিয়ে পারভীন বুঝতে পারে, সজীবের অন্য মেয়েদের সঙ্গেও সম্পর্ক রয়েছে এবং সজীবের মুখ্য উদ্দেশ্য পারভীনের টাকা ও স্বর্ণালংকার।”
পারভীনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ঝগড়া সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
“তিনি বলেছেন, সজীবের সঙ্গে তার প্রথমে ঝগড়া হয়, তখন সজীব তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। পরে ধস্তাধস্তির মধ্যে ছুরি পারভীনের হাতে চলে আসে। তখন তিনি সজীবকে ছুরি মারলে সে মারা যায়।”
এরপর পারভীন রান্না ঘরের বটি দিয়ে সজীবের মৃতদেহ পাঁচ টুকরা করার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
পারভীনের হাতেও কেটে যাওয়ার জখম থাকার কথা জানান তিনি।
এক কক্ষের ওই বাসায় সজীব একাই থাকতেন। তিনি সজীব হস্তশিল্পের কাজ করতেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডে।
পারভীন পুলিশকে বলেছেন, পাঁচ বছর ধরে তার সঙ্গে সজীবের সম্পর্ক। স্বামীবাগের বাসাটি তাকে স্ত্রী দেখিয়েই ভাড়া নিয়েছিলেন সজীব।
আত/১২ ফেব্রুয়ারি/২০২১