এনবি নিউজ : স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের হারিয়ে যাওয়া ফাইলগুলো তেমন গোপনীয় নয় জানিয়ে এ বিভাগের সচিব আলী নূর বলেছেন, ফাইল হারিয়ে যাওয়াটাই বড় বিষয়।
আজ রবিবার পুলিশের তদন্ত শুরুর দিন নিজ দপ্তরে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
ফাইলগুলো কী সংক্রান্ত ছিল-জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এগুলো ক্রয় সংক্রান্ত। এগুলো তেমন গোপনের কিছু নেই। প্রত্যেকটা ফাইলের তথ্য আমাদের অন্যান্য বিভাগেও আছে, আমাদের কম্পিউটারেও আছে, আমাদের ডিজি অফিসগুলোতেও আছে। এটা নিয়ে তেমন সমস্যা না, কিন্তু মূল বিষয়টা হচ্ছে ফাইল মিসিং হওয়াটা। এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এটিই উদ্ধারের চেষ্টা করছি।’
১৭টি নথি গায়েব হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় শাহবাগ থানায় জিডি দায়ের করে, জানানো হয় সিআইডিকেও। রবিবার সকালে শাহবাগ থানা পুলিশ এবং সিআইডির সদস্যরা সচিবালয়ে এসে তিন নম্বর ভবনের নিচতলার ২৯ নম্বর কক্ষ থেকে আলামত সংগ্রহ করেন এবং সেখানে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জন কর্মচারীকে নিয়ে যান তারা।
নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের কাউকে সন্দেহ করেন কিনা-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘সন্দেহের বিষয়টা তো এখন বলাটা কঠিন। কারণ, আমরা তো সত্যিকারভাবেই আসলে জানি না, কে এই কাজটি করেছে। আমি তো মনে করি যে, আমরা সবাই সন্দেহের মধ্যেই আছি। আমরা পুলিশকে সেভাবেই বলেছি, আপনারা সবাইকেই ইনক্লুড করবেন, যাতে আমরা তথ্যটা জানতে পারি, উদ্ধার করতে পারি।’
সচিব আরও বলেন, ‘বৃহস্পতিবার একটা লকারের একটা ড্রয়ার থেকে কিছু ফাইল মিসিং হয়েছে, এটা জানার পরে আমরা সাথে-সাথে আমাদের অফিসারদের সেখানে পাঠাই। পরে আমরা নিশ্চিত হলাম যে, মিসিং হয়েছে। এটা শোনার পর আমি স্পটে গিয়েছি। আমাদের অতিরিক্ত সচিবরা আমার সঙ্গে ছিলেন। ’
‘সঙ্গে সঙ্গে আমি পুলিশকে খবর দিলাম। এডিসিসহ আরও দুজন কর্মকর্তা আমাদের এখানে আসছেন। তারা বিষয়গুলো দেখেছেন। দেখার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রী মহোদয়কে অবহিত করি, ক্যাবিনেট সচিব মহোদয়কে অবহিত করি এবং পুলিশকে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’
সচিব বলেন, ‘এর বাইরে সিআইডিকে অনুরোধ করি, বিষয়টা টেক আপ করার জন্য, যাতে আমাদের যে বিষয়টা ঘটে গেছে, এটাতো আমাদের উদ্ধার করতে হবে, যেভাবেই হোক। যারা এর সাথে জড়িত, এটা খুঁজে বের করতে হবে, কীভাবে হলো, কখন হলো। এটাই ছিল আমাদের মূল বিষয়।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, প্রকৃত ঘটনাটা যেন আমরা জানতে পারি। ’
এ ঘটনায় চার সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘সেই কমিটিও কাজ শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, খুব শিগগিরই একটি তথ্য জানতে পারবো, কারা কীভাবে কাজটি করেছে এবং কেন করেছে। ’
এ ঘটনায় তদন্তে আসা সিআইডির পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান জানান, পুলিশের পাশাপাশি তারা ছায়া তদন্তের কাজটি করছেন।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473