প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কংক্রিটের বিরাট একটি ধ্বংসস্তূপের নিচে নির্মাণ শ্রমিকরা আটকা পড়ে আছেন।
রাজ্যটির কর্মকর্তা ওলুফেমি ওকি-ওসানিএনটোলু জানিয়েছেন, সোমবার ঘটনাটি ঘটার পর তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়।
মৃতের সংখ্যা এখন ছয় জনে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে। জরুরি বিভাগের সবগুলো বাহিনী এখন ঘটনাস্থলে রয়েছে।”
তিনি জানান, চার জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের মধ্যে সামান্য আহত তিন জনকে ঘটনাস্থলেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, লাগোসের অভিজাত আবাসিক এলাকা ইকোয়িতে ঘটনাটি ঘটার পর রাত থেকেই সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে উদ্ধার তৎপরতার চালিয়ে যাচ্ছিলেন জরুরি বিভাগের কর্মীরা। ইকোয়ি এলাকাটির অনেক ব্লকে বহু ফ্ল্যাট নির্মাণাধীণ আছে।
নির্মাণ শ্রমিকার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ভবনটি ধসে পড়ার সময় সম্ভবত ১০০ জন লোক সেখানে কাজ করছিল।
রাতে জেনারেটরচালিত ফ্লাড লাইট লাগিয়ে অ্যাক্সক্যাভেটর ব্যবহার করে ধ্বংসস্তূপ সরাচ্ছিলেন উদ্ধার কর্মীরা।
লাগোস রাজ্য সরকার জানিয়েছে, ধসে পড়া ভবনটি ২২ তলা ছিল এবং নিকটবর্তী ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা কর্তৃপক্ষগুলো তা পরীক্ষা করে দেখছে।
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদু বুহারি উদ্ধারকাজ জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্মাণাধীণ তিনটি টাওয়ারের একটি ছিল ধসে পড়া ভবনটি। একটি বেসরকারি ডেভেলপার কোম্পানি টাওয়ারগুলো নির্মাণ করছিল। তাদের ব্রুশিয়ারে সম্ভাব্য ক্রেতাদের ‘হোটেলের স্বাচ্ছন্দ্যসহ চাপমুক্ত জীবনধারার’ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ধসে পড়া ভবনটির সবচেয়ে সস্তা ইউনিটটির বিক্রয় মুল্য ১২ লাখ ডলার ছিল।
ব্রুশিয়ারে দেওয়া নম্বরগুলোতে কল করা হলেও রিং বাজেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় প্রায়ই ভবন ধসের ঘটনা ঘটে। নিয়মকানুন না মানা ও প্রায়ই নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার করাই এর কারণ।