নিউজ ডেস্ক : জানা গেছে, মিয়ানমারের বিশেষ পুলিশ ইউনিটকে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষণ দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গত সপ্তাহে দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভকারীদের ওপর সহিংস হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে। গণতন্ত্রের দাবিতে মিয়ানমারে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দেশটির রাজপথে হাজার বিক্ষোভকারীদের সামনে ক্রমেই মারমুখী হচ্ছে সামরিক সরকার।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্য দ্য গার্ডিয়ান থেকে জানা যায়, ইইউ সহায়তা প্রকল্প মাইপলের আওতায় মিয়ানমারের পুলিশকে ভিড় বা জনসমাগম সামাল দেওয়ার একটি ম্যানুয়াল তৈরিতে সাহায্য করেছিল ইউরোপীয় পুলিশ। ২০১২ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে মিয়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত পুলিশকে প্রশিক্ষণ ও আধুনিকায়নের যন্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। এর পাশাপাশি ‘আন্তর্জাতিক সেরা অনুশীলন এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা’ দেখানোর প্রশিক্ষণের বিষয়টিও ছিল ওই প্রকল্পে।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার পর প্রকল্পটি বাতিল করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রশিক্ষণ পাওয়া এই পুলিশ সদস্যরা সেনা শাসন বিরোধী বিক্ষোভকারীদের দমন করতে জলকামান, রবার বুলেট ও তাজাগুলি ব্যবহার করেছে। এই ইউনিটের এক পুলিশ কর্মকর্তাকে মঙ্গলবার নেপিদুতে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে অস্ত্র তাক করতে দেখা গেছে। তার ওই ছবি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473