এনবি নিউজ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতি নেই। হাতে এক কোটির ওপরে ভ্যাকসিন আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব মানুষকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেজন্যই আমরা ২১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কিনে রেখেছি। সেখান থেকে এ মাসে অন্তত তিন কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন আসবে। আগামী মাসেও একই হারে আসার কথা। ইতোমধ্যে ৭ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী বছর জানুয়ারি মাসের মধ্যেই অন্তত ১২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে। সেটি করা গেলে করোনায় মৃত্যুর হার শূন্যের কোঠায় নামানো সম্ভব হবে।
আজ রবিবার দুপুরে গাজীপুরের কাশিমপুরে ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
দেশে করোনা মহামারি চলাকালেও কোথাও ওষুধের ঘাটতি দেখা দেয়নি। গ্রাম পর্যায়েও এই ওষুধ ছিল পর্যাপ্ত। বাংলাদেশের ওষুধ দেশীয় চাহিদার ৯৮ ভাগ পূরণ করেও বিদেশে রফতানি করে প্রচুর আয় করছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ এখন বিশ্বের ১৪৫টি দেশে রফতানি করা হচ্ছে। এই ওষুধ বিদেশে রফতানি করে গত ছয় বছরে ৫ বিলিয়ন আয় থেকে এখন ৩১ বিলিয়ন রফতানি আয় করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের প্রায় ৯৮ ভাগ মানুষের সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে দেশের ওষুধ দিয়েই। গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির পর দেশের অন্যতম একটি বড় একটি আয়ের উৎস হতে যাচ্ছে ওষুধ কোম্পানি।
দেশে যেন কোনও ভেজাল ওষুধ না থাকে এবং দাম আরও সাশ্রয়ী হয় সেজন্য নতুন ওষুধ নীতিমালা করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নতুন প্রতিষ্ঠিত ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন ও প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেন। এ সময় সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, কেন্দ্রীয় ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান, ডিবিএল ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ উপস্থিত ছিলেন।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473