এনবি নিউজ : আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর মহাখালী বিসিপিএস মিলনায়তনে টিকা বহনের জন্য ফ্রিজার ভ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, মহাখালীর কড়াইল বস্তি থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব বস্তিতে তা চালু করা হবে। বস্তিবাসী সিনোফার্মের টিকা পাবেন বলেও জানান মন্ত্রী।
সবাইকে টিকার আওতায় আনাই সরকারের লক্ষ্য উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মহাখালীর সবচেয়ে বড় বস্তি কড়াইল; সেখান থেকেই শুরু হবে। ওখানে প্রায় ৩ লাখ মানুষ বসবাস করে। তাদের আমরা প্রথমে টিকার আওতায় আনবো। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতেও টিকা কার্যক্রম চালু করা হবে। নিবন্ধনের মাধ্যমেই তাদের টিকা দেওয়া হবে। সেখানে স্পট রেজিস্ট্রেশনেরও ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান মন্ত্রী।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর এবং কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য ডা. মো. শামসুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বস্তিবাসীর অনেকেই ইতোমধ্যে টিকা নিয়ে নিয়েছেন। তারপরও এই এলাকার ৩ লাখ জনগোষ্ঠীর কিছু মানুষ বাদ আছে। সেখানে একসঙ্গে অনেক মানুষকে পাওয়া যাবে। আমরা বুথ করতে পারবো বেশি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আমাদের এতে সহায়তা করছে। এছাড়া রেড ক্রিসেন্ট, ব্র্যাক, তারাও এগিয়ে আসছে।
বস্তিবাসী অনেকের আগেই রেজিস্ট্রেশন করা আছে, আর কিছু মানুষের জন্য ‘অন দ্য স্পট রেজিস্ট্রেশন’-এর ব্যবস্থা থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন সত্ত্বেও যাদের এসএমএস আসেনি তাদের এসএমএস পাঠানোর ব্যবস্থা করে আমরা টিকা দেবো। পর্যায়ক্রমে ঢাকার অন্যান্য বস্তি এবং দেশের সব বস্তি এলাকায় কার্যক্রম শুরু করা হবে। যতদিন না সবাই টিকার আওতায় আসছে, ততদিন বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি চলবে।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473