এনবি নিউজ : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের সব মানুষের ডিজিটাল নিরাপত্তার জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, কোনো বিশেষ পেশার মানুষের জন্য নয়। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই এ ধরনের আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
রাজধানীর র্যাডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেলে মঙ্গলবার বেসরকারি সংস্থা ডিপ্লোম্যাটস আয়োজিত ‘ফ্যাক্ট অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট অব ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট’ সেমিনারে নিজ দপ্তর থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মো. আমিন উদ্দিন এবং আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বিশেষ অতিথি হিসেবে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন। ব্যারিস্টার এসএম শফিউল্লাহ রহমান, ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজীব এবং অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন মূল আলোচনায় অংশ নেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে যখন ডিজিটাল বিষয় ছিল না, তখন এ আইনের প্রয়োজন ছিল না। আজকে যদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিংবা অনলাইনে একজন গৃহিণীর চরিত্র হনন করা বা মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়, তা হলে তিনি কোন আইনের বলে প্রতিকার পাবেন?
একজন কৃষক, ছাত্র, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী কিংবা একজন রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রে যদি সেটি ঘটে, তা হলে প্রতিকার পাওয়ার জন্য আইনের প্রয়োজন রয়েছে এবং সেই প্রয়োজনীয়তার নিরিখেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রণয়ন করা হয়েছে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভারতে দি ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্ট ২০০০, পাকিস্তানে দ্য প্রিভেনশন অব ক্রাইম অ্যাক্ট ২০১৬ এবং সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়াতেও এ ধরনের আইন করা আছে। একটি ফ্রেমওয়ার্ক আইনের অধীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলো এ ধরনের আইন প্রণয়ন করেছে, অর্থাৎ পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এ আইন করা হচ্ছে।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473