এনবি নিউজ : মাত্র ৯ হাজার ফোর্সের র্যাব জঙ্গি ও দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে যে মানবিকতা দেখিয়েছে পৃথিবীতে অন্য কোনও বাহিনীর এমন নজির নেই। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় র্যাবের অফিসারসহ ২৮ জন প্রাণ দিয়েছেন, একহাজারের মত সদস্য পঙ্গু হয়েছেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভবিষ্যতেও র্যাব জীবন দিয়ে কাজ করবে।
আজ শনিবার ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বাহিনীর মুখপাত্র খন্দকার আল মঈন এই তথ্য জানান।
র্যাবের ছয় শীর্ষ বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অফিসিয়ালি আমরা কোনও চিঠি পাইনি। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা বলতে চাই, র্যাব কখনও মানবাধিকার লুণ্ঠন করেনি, রক্ষা করেছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমন হয়েছে। সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হয়েছে। সুন্দরবনের ৩৬ টি দস্যু বাহিনীর ৩২৬ জন দস্যু আত্মসমর্পণ করেছে। তাদের সুস্থ জীবন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আল মঈন বলেন, জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ করেছে, তারাও সুস্থ জীবনে ফিরেছে। জঙ্গি ও দস্যুসসহ ৪২১ জনকে র্যাব সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে এনেছে। আমার জানা নেই বিশ্বে আর কোনও বাহিনী আছে কিনা যারা এমন মানবিকতা দেখিয়েছে।
ক্রসফায়ারের বিষয়ে র্যাবের এই পরিচালক বলেন, বিভিন্ন সময় আমাদের বিরুদ্ধে গুলিবিনিময়ের অভিযোগ করা হয়। আপনারা জানেন রাষ্ট্রের আইনে প্রতিটি নাগরিকের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন অভিযানে যায়, তখন সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলিবিনিময়ের অধিকার রাষ্ট্রের আইন আমাদের দিয়েছে। মাদক, জঙ্গি দমনের অভিযানে আমরা যখন প্রতিরোধের মুখে পরেছি তখনই গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। র্যাব আত্মরক্ষার্থে গুলি করেছে।
ক্রসফায়ারের প্রতিটি ঘটনার স্বাধীনভাবে তদন্ত হয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিটি গুলি বিনিময়ের ঘটনা নির্বাহী তদন্ত হয়। তারা দেখে গুলি বিনিময় যথাযথ ছিল কিনা। যারা আইন ভঙ্গ করে, নিয়ম ভঙ্গ করে তাদের বিরুদ্ধে র্যাব সবসময় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
এটি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473