ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৪তম আসরের নিলামে শেষ মুহূর্তে ড্রাফটের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় মুশফিকুর রহিমকে। বৃহস্পতিবার নিলাম শুরুর ঠিক আগমুহূর্তে জানা যায় নিলামের এক কোটির ভিত্তিমূল্যে রয়েছেন মুশফিক।
কিন্তু এমন সংবাদ প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চেন্নাইয়ে যখন নিলাম শুরু হয় তখন কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায়নি বাংলাদেশ দলের এই তারকা উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে দলে নিতে।
নিলামের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরই জানা যায় বাংলাদেশ থেকে আছেন সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
নিলামে সাকিবকে ৩ কোটি ২০ লাখে দলে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। আগেও বেশ কয়েক বছর শাহরুখ খানের মালিকানাধীন দলটিতে খেলেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
২০১৬ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের শিরোপা জয়ে অবদান রাখা মোস্তাফিজুর রহমানকে দলে নিতে তেমন আগ্রহ দেখায়নি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। ১ কোটি ভিত্তিমূল্যে থাকা এই তারকা পেসারকে দলে নেয় রাজস্থান রয়েলস।
প্রথম চার রাউন্ডে বাংলাদেশ দলের পাঁচজন তারকা ক্রিকেটারের মধ্যে বিক্রি হন সাকিব-মোস্তাফিজ। পঞ্চম রাউন্ডেও নিলামে নাম ওঠেনি মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের।
২০১৯ সালের আইপিএল নিলামের তালিকায়ও ছিলেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু মুশফিকুরের নাম নিলামে উঠলেও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহ দেখায়নি। মাহমুদউল্লাহর নাম নিলামে ওঠানো হয়নি। জাতীয় দলের এই দুইজন তারকার ভিত্তিমূল্য ছিল ৫০ লাখ রুপি।
এর আগে ২০১৬ আইপিএলের নিলামেও অংশ নিয়েছিলেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ। সেবারও নিলামের প্রথম দিনে মুশফিকের নাম উঠেছিল। কিন্তু কোনো দলই বাংলাদেশের ‘মি. ডিপেন্ডেবলকে দলে কিনতে আগ্রহ দেখায়নি। আর নিলামে নাম ওঠানো হয়নি মাহমুদউল্লাহর।
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473