এনবি নিউজ : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে মানুষের পারসেপশনের একটা পরিবর্তন হয়। তবে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলেই যে অবিচার বা ভোট চুরি হবে না- তা নয়। কিন্তু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে একটা ভারসাম্য সৃষ্টি হয়।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে বি. চৌধুরীর বিকল্পধারা বাংলাদেশের সঙ্গে সংলাপে বসে সিইসি এ কথা বলেন।
সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনকে বাঁচিয়ে রাখা না গেলে, রাজনীতি উধাও হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন। তার ভাষ্য, ‘নির্বাচনকে যদি বাঁচিয়ে রাখা না যায় পলিটিকস উধাও হয়ে যাবে। তখন পলিটিকসও বলা যাবে না, গণতন্ত্রও বলা যাবে না।’
সংলাপে বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। আর কমিশনের মধ্যে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এবং চার নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আপনাদের বক্তব্য আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব। নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারি সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি। অংশীজনের সক্রিয় অংশগ্রহণ লাগবে। সবার সহযোগিতা ও সমর্থন আমরা চাইব।নির্বাচন কমিশন যে দায়িত্ব পালন করবে এর ওপর আপনাদের নজরদারি রাখতে হবে। আমাদের কোনটা উচিত হয়নি বা অপকর্ম হয়ে গেছে এসব বিষয়ে আপনারা নির্দ্বিধায় সঙ্গে সঙ্গে ফাইন্ড আউট করবেন।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন সহজ কাজ নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি কঠিন একটি কাজ। এজন্য সবার আন্তরিক সহযোগিতা লাগবে।’
সিইসি আরও বলেন, ‘প্রতিটা কেন্দ্রে যদি বড় বড় দলগুলো থাকে তাহলে যে কর্মী বা সমর্থকরা থাকেন তারাই আমার কাজটা সহজ করে দেন। আমি চাই অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অবশ্যই আমরা ওইভাবেই চাইব।’
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473