এনবি নিউজ : খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় (ওএমএস) সারা দেশে খোলা বাজারে চাল ও আটা বিক্রি কার্যক্রম চলছে। বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিভিন্ন জেলায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও ১৮ টাকা কেজিতে আটা বিক্রি করছেন ডিলাররা। কর্মসূচির আওতায় টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরাও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল কিনতে পারছেন। কম দামে চাল পেয়ে নিম্নআয়ের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
খোলাবাজারে চাল-আটা বিক্রি (ওএমএস) এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হওয়ায় বাজারে চালের দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আজিমপুর ছাপড়া মসজিদের পাশে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে প্রতি মাসে ৩ লাখ টন চাল দেওয়া হবে। বর্তমানে দেশে প্রায় ২০ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আরও গম এবং চাল আমদানি করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মিলে কী দরে চাল বিক্রি হচ্ছে, সেখান থেকে আড়তে কী দরে বিক্রি করছে এবং আড়ৎ থেকে কিনে খুচরা বিক্রেতারা কত লাভে বিক্রি করছেন, এটা মনিটর করার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
দেশে চালের কোনো সংকট নেই, প্রতিটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালেই দেখা যায় প্রচুর পরিমাণ চাল রয়েছে। চালে কেউ অস্বাভাবিক মুনাফা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী।
বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সিন্ডিকেট রয়েছে, এই সিন্ডিকেট ভাঙা খাদ্যমন্ত্রীর পক্ষে সম্ভব কি না, জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব না। এ ব্যাপারে তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান।
খাদ্যমন্ত্রী আরও জানান, সরু চাল যাতে অবাধ আমদানি হয়, সে জন্য সরকার ট্যাক্স কমিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অচিরেই বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেওয়া হবে। আর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল দেওয়ার পাশাপাশি ৩০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি করে কার্ডধারী সাশ্রয়ী মূল্যে চাল কিনতে পারবেন। আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর—এই তিন মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিতরণ করা হবে।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473