এনবি নিউজ : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত আবার নতুন করে রাজপথে নেমেছে। সভা-সমাবেশের নামে তাণ্ডব চালাচ্ছে। তারা পায়ে পাড়া দিয়ে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করছে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ তাদের তাণ্ডব শেষ হয়ে যায়নি।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময়সভা তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গোলযোগ সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করা বিএনপির লক্ষ্য। তারা যে কোনো মূল্যে সরকারের পতন ঘটাতে চায়। বিএনপি বলে তারা নির্বাচনে যাবে না। তারা জানে তাদের দলের দুই শীর্ষ নেতা দুর্নীতি, সন্ত্রাসী ও হত্যার দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত, জনগণ তাদেরকে ভোট দেবে না। তারা জানে বলেই তারা চায় না নির্বাচন হোক।
তিনি বলেন, তাদের লক্ষ্য— সরকারের পতন ঘটাতে পারলে অন্য কোনো সামরিক সরকার যদি আসে, তা হলে তাদের দণ্ড মওকুফ করে নির্বাচন করার সুযোগ দেবে— এটিই তাদের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশে এই লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার কোনো সুযোগ নেই।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগের এ সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা আশা করি সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেবে। তার পরও যদি কোনো রাজনৈতিক দল অংশ না নেয় তা হলে তা তাদের ব্যাপার। আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই।
দলের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ২০২৪ সালের ৮ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ করেছে নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।
হানিফ বলেন, বিএনপি স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না, সংবিধান মানে না।
বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, কিছু দিন আগে মির্জা ফখরুল সাহেব বললেন, বর্তমান বাংলাদেশের অবস্থা না কি পাকিস্তান আমলে ভাল ছিল। এই কথা বলার মধ্য দিয়ে তিনি প্রমাণ করেছেন তিনি পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী। তারা সব রাজাকারের বংশধর তাদের কথাবার্তা দিয়ে তারা প্রমাণ করছে।
আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকতে দেশ জঙ্গিবাদের চারণভূমি ছিল। মানুষের মাঝে হতাশার চিত্র ছিল। শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশ সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশে উন্নয়ন, অগগতি হয়েছে।
বিএনপির শাসনামলে দেশে ভয়াবহ খাদ্য ঘাটতি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রথমে গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষিকে। সার কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছেন। ভালো বীজ, সারের সুসম বণ্টনের কারণে আজ আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
মতবিনিময়সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের সঞ্চালনায় মতবিনিময়সভায় এলজিআরডিমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী প্রমুখ ছাড়াও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন উপজেলা আওয়ামী লীগের আমন্ত্রিত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473