এনবি নিউজ : আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ করবে সাত দলীয় জোট গণতন্ত্র মঞ্চ। সারাদেশে হত্যা, হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন বন্ধের দাবিতে এবং সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহবানে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই সমাবেশ হবে।
আজ রোববার রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কার্যালয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য আকবর খান ও নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দালনের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হাসান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আনসার আলী দুলাল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিবুল্লাহ বাহার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার সমন্বয়ক হাসিব উদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।
গণতন্ত্র মঞ্চের পক্ষে গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় নেতারা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী এই ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশব্যাপী বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপরে বেপরোয়াভাবে হত্যা, দমন-পীড়ন ও হামলা-মামলার যে নগ্ন তৎপরতা শুরু করেছে তা তাদের উন্মত্ত ক্ষমতাকেই প্রকাশ করছে। সর্বশেষ মুন্সীগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে নেক্কারজনক পুলিশী হামলা এবং বিএনপি কর্মী শাওনকে গুলি করে হত্যা রাজনৈতিক দমন-পীড়নের ইতিহাসে এক নিষ্ঠুর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনের নগ্ন হুমকি এই হত্যাযজ্ঞ ও হামলায় সরাসরি প্ররোচনা জোগাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এইসব হামলা বন্ধ করে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
এছাড়াও সভায় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রীতম দাশের মুক্তি দাবি করে বলেন, সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেয়ার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রীতম দাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে এখন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করার পায়তারা করছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আন্দোলন দমনের এই ঘৃণ্য ও নোংরা পদ্ধতি সরকারের চরিত্রকেই পুনর্বার উন্মোচিত করল। এইসব হত্যা, হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন করে এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473