এনবি নিউজ : একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পদকপ্রাপ্ত গুণীজনদের কাছ থেকে নতুন প্রজন্ম শিক্ষা গ্রহণ করবে, এই আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই বাংলাদেশ আত্মমর্যাদায় বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলবে।তিনি এ কথা বলেন।
আজ (শনিবার) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ২১ জন বিশিষ্ট গুণীজনের হাতে এই পদক তুলে দেন।
যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার স্বাধীনতা এসেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই দেশের সকল সংগ্রাম এবং তার ফলে স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল। ।
চলতি বছর একুশে পদক দেওয়া হয়েছে, ভাষা আন্দোলনে তিনজন, মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে তিনজন, শিল্পকলায় সাতজন, ভাষা ও সাহিত্যে তিনজন এবং সাংবাদিকতা, শিক্ষা, গবেষণা, অর্থনীতি ও সমাজসেবায় একজনকে।
২১ বিশিষ্ট ব্যক্তি হলেন- ভাষা আন্দোলনের জন্য মোতাহার হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার-মরণোত্তর), শামছুল হক (মরণোত্তর) ও আফসার উদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর)।
শিল্পকলায় পাপিয়া সারোয়ার (সংগীত), রাইসুল ইসলাম আসাদ (অভিনয়), সালমা বেগম সুজাতা (অভিনয়), আহমেদ ইকবাল হায়দার (নাটক), সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী (চলচ্চিত্র), ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় (আবৃত্তি), পাভেল রহমান (আলোকচিত্র)।
মুক্তিযুদ্ধে গোলাম হাসনায়েন, ফজলুর রহমান খান ফারুক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুমা সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর)। এ ছাড়া, সাংবাদিকতায় একুশে পদক পাচ্ছেন অজয় দাশগুপ্ত, গবেষণায় ড. সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে ড. মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় প্রফেসর কাজী কামরুজ্জামান, ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী, বুলুবুল চৌধুরী ও গোলাম মুরশিদ।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473