এনবি নিউজ : গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো চাপ অনুভব করছে না বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেছেন, আমরা আমাদের কাজ করেছি, কোনো চাপ অনুভব করছি না। ভোটাররা ভোট দিতে পারছে কিনা সেটি দেখা আমাদের দায়িত্ব।
আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে একই চিত্র দেখতে পেলে কী করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আগাম কিছু বলতে পারছি না। আর এটা একটা ভিন্ন ধরনের নির্বাচন। এ বিষয়ে এককভাবে আমি কিছু বলতে পারবো না যে, কালকে কী করবো বা আরও কী করবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা কিন্তু কোনো পক্ষ নই। ভোটাররা ভোট দিতে পারছে কিনা সেটি দেখা আমাদের দায়িত্ব।
সিসিটিভির ব্যবহার নিয়ে হাবিবুল আউয়াল বলেন, সিসিটিভির প্রচলনটা সাম্প্রতিক। আমরা এটার মাধ্যমে এখান থেকে নির্বাচন মনিটরিং করতে পারি। এটা একটা ভালো উদ্যোগ।
জাতীয় নির্বাচনে সিসিটিভি ব্যবহার প্রশ্নে কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে আমরা সিসিটিভি স্থাপন করে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা বলছি। জাতীয় নির্বাচনে ৪২ হাজার কেন্দ্র ও চার লাখ বুথ থাকে। সেটা মনিটরিং করা সম্ভব। এটা আমাদের অনেক বড় আকারে করতে হবে। অনেক লোক নিয়োগ দিতে হবে। তখন মনিটরিংয়ে আমরা পাঁচজন নয়, আরও অনেক লোক থাকবে।
তিনি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের সব কেন্দ্র ও কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। গাইবান্ধা-৫ এর মতো সব মনিটরিং করা হবে।
এর আগে বুধবার অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে উপনির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে নির্বাচন বন্ধের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান তিনি।
সাথী
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473