বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে এ টি এম শামসুজ্জামান শুধু অভিনেতাই নন, নাটক-সিনেমার চিত্রনাট্য ও নির্মাণেও তিনি দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। অভিনয়ের প্রায় প্রতিটি শাখায় বিচরণ করেছেন অসম্ভব সফলতার সঙ্গে।
এ টি এম শামসুজ্জামান জীবদ্দশায় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি চিরদিন থাকব না, আমাকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব আপনাদের। আমার মৃত্যুর পরও যদি আপনারা আমাকে স্মরণ করেন, তাহলে আমি কৃতজ্ঞ থাকব। আমি না থাকি, আমার আত্মা থাকবে।’
১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। সহকারী পরিচালক হিসেবে তিনি প্রথমে চলচ্চিত্রাঙ্গণে পা রাখেন। উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ সিনেমায় সহকারী পরিচালক হিসেবে প্রথম কাজ শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৬৮ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত ‘এতটুকু আশা’ ছবির মাধ্যমে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনা আসেন।
এ টি এম শামসুজ্জামান প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছিলেন ‘জলছবি’ সিনেমার। ২০০৯ সালে ‘এবাদত’ নামে প্রথম সিনেমা পরিচালনা করেন। যাতে অভিনয় করেন রিয়াজ ও শাবনুর। অসংখ্য চলচ্চিত্রের কাহিনী, সংলাপ ও চিত্রনাট্য রচনা করেছেন তিনি।
১৯৮৭ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দায়ী কে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান এ টি এম শামসুজ্জামান। ২০১২ সালে রেদওয়ান রনি পরিচালিত ‘চোরাবালি’ ছবিতে পার্শ্বচরিত্রে অভিনয়ের জন্যে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০১৭ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পান এ টি এম শামসুজ্জামান। এছাড়া শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৫ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473