এনবি নিউজ : চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভা ৪ ডিসেম্বর। এতে উপস্থিত থাকবেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এই জনসভা সফল করতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ। আজ নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে তিন সাংগঠনিক জেলা শাখার যৌথ বর্ধিত সভা হবে। ওই সভা থেকে জনসভা সফল করার ছক তৈরি হবে। দেওয়া হবে গাইডলাইন। বিএনপির পলোগ্রাউন্ডের গণসমাবেশের বিপরীতে আওয়ামী লীগের পাল্টা এই জনসভাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবেই নিচ্ছেন নেতারা। যে কোনো মূল্যে সর্বোচ্চসংখ্যক উপস্থিতির মাধ্যমে বিএনপির প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চান তারা।
এদিকে জনসভার কারণে চট্টগ্রাম মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল সম্মেলন পিছিয়ে যাচ্ছে। তবে আগেভাগেই সম্মেলন হয়ে যাওয়ায় অনেকটাই নির্ভার আছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ। তারা ৪ ডিসেম্বরের জনসভা সফল করতে পুরোদমে মনোযোগ দিতে পারছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের রোডম্যাপ রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। তাই ২০২৩ সালকে নির্বাচনের বছর হিসেবে ধরে নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। কেউ ক্ষমতায় যেতে আর কেউ ক্ষমতায় টিকে থাকতে নিয়োগ করছে সর্বশক্তি।
দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দীর্ঘ ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি দেশব্যাপী গণসমাবেশ শুরু করেছে আগেভাগেই। চট্টগ্রাম, বরিশালসহ কয়েকটি বিভাগীয় শহরে এরই মধ্যে গণসমাবেশে লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি দেখে আওয়ামী লীগ রীতিমতো শঙ্কিত। গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে বিএনপির গণসমাবেশে ব্যাপক উপস্থিতি দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার পাশপাশি আওয়ামী লীগও খানিকটা বিচলিত। তাই এর পাল্টা হিসাবে নির্বাচনের বছরকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম থেকেই দেশব্যাপী বিভাগীয় পর্যায়ে জনসভা আয়োজনের ছক তৈরি করেছে আওয়ামী লীগ।
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক যুগান্তরকে বলেন, ‘তৃণমূল সম্মেলন চার মাস আগে শুরু হলেও নানা কারণে এখন সবগুলো ইউনিট, ওয়ার্ড বা থানা কমিটির সম্মেলন শেষ করা যায়নি। আপাতত ৪ ডিসেম্বরের জনসভা কী করে সফল করা যায় সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছি। তবে এরই মধ্যে বিরোধ বা বিতর্ক নেই এমন ওয়ার্ড ও থানা কমিটির সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে।’
সূত্র জানায়, ২৮ জুন আওয়ামী লীগ ইউনিট পর্যায় থেকে সম্মেলন শুরু করে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ নানা কারণে যে গতিতে তৃণমূল সম্মেলন হয়ে যাওয়ার কথা সে গতিতে হয়নি। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আওতায় ১৫টি সাংগঠনিক থানা, ৪৩টি ওয়ার্ড ও ১৩৭টি ইউনিট রয়েছে। দেখা গেছে, বিগত চার মাসে মাত্র ১০টি ইউনিট ও ২টি থানা কমিটি গঠন হয়েছে। ইউনিট ও থানা মিলে আরও ১৮৩ কমিটি গঠন বাকি রয়েছে। এসব কমিটি গঠন শেষ হলেই নগর সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আওতায় ৮২০টি ওয়ার্ড, ৯৬টি ইউনিয়ন, ৮টি থানা, ও ৬টি পৌরসভা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি থানা, ২টি পৌরসভা এবং বেশ কিছু ইউনিয়ন এবং সবগুলো ওয়ার্ডের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জনসভাটাই এখন আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তৃণমূলের কোনো সম্মেলন যদি করা নাও যায়, সেক্ষেত্রে কমিটি বিলুপ্ত করে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হবে। জাতীয় সম্মেলনের আগে জেলা সম্মেলনও করে ফেলতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পর তৃণমূল সম্মেলনের দিকে আমরা নজর দেব।’
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম বলেন, ‘৯ নভেম্বর (বুধবার) যৌথ বর্ধিত সভা থেকে একটি গাইডলাইন পাওয়া যাবে। সেখানে ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রী-এমপিরাও উপস্থিত থাকবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ৪ ডিসেম্বরের জনসভা সফল করতে সেই গাইডলাইন অনুযায়ী আমরা কাজ করব। জনসভায় সর্বোচ্চ উপস্থিতির মাধ্যমে বিএনপিকে দাঁতভাঙা জবাব দিতে চাই।’
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473