লেবানিজ় বংশোদ্ভূত এই প্রাক্তন পর্ন তারকার বয়স এখন উনত্রিশ। প্রায় ৭ বছর নীলছবির তারকা অভিনেত্রী হিসাবে কাজ করার পর হঠাৎই ওই কাজ পুরোপুরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

মিয়া বলেছেন, পর্ন দুনিয়ায় থাকাকালীন ওই ৩ মাসের অভিজ্ঞতা জীবনে ভুলব না আমি। আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল ওই তিন মাস। তবে ওই ৩ মাসে জীবন আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েও দিয়েছিল।

এই পেশায় কাজ করা বা কাজ করার কথা ভাবছেন এমন অভিনেতা-অভিনেত্রী বা অন্য কর্মীদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।

মিয়া এখন নিজের পরিচয় দেন একজন প্রভাবী হিসাবে। সামাজমাধ্যমে এমন অনেক প্রভাবী নিজেদের বক্তব্য প্রকাশ করেন তাঁর অনুগামীদের কাছে। ওনলি ফ্যানস নামে একটি সামাজ মাধ্যমের প্ল্যাটফর্মে মিয়াও সেই একই কাজ করেন।

মিয়া জানিয়েছেন, ওনলি ফ্যানসে অনেকেই প্রাপ্তবয়স্ক ছবি বা ভিডিয়ো দিয়ে থাকেন। কিন্তু তিনি সেই পর্যায়ে পড়েন না। তিনি ওনলি ফ্যানসে এমন কোনও ছবি দেন না, যা অন্য কোনও সমাজমাধ্যম, যেমন ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে দেওয়া যাবে না।

এর পাশাপাশি খেলার সম্প্রচার এবং সঞ্চালনার কাজও করেন মিয়া। নিজের পুরনো জীবনকে তিনি সম্পূর্ণ ভাবেই বাদ দিয়ে দিয়েছেন তাঁর বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ থেকে।

সম্প্রতি তাঁকে তাঁর পুরনো জীবনের প্রসঙ্গ টেনে প্রশ্ন করা হয়েছিল একটি সাক্ষাৎকারে। সেখানেই মিয়া বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।

মিয়া জানিয়েছেন কেউ যদি নীলছবি তৈরির ব্যবসা করতে চান, তবে তাঁর বয়স অন্তত ২১ বছর হওয়া উচিত। পর্ন দুনিয়ায় এর কমবয়সি অনেকেই নীল ছবি তৈরির ব্যবসায় নামেন।

এই পেশায় ক্যামেরার সামনে কাজ করার জন্য কত বয়স হওয়া উচিত? তারও জবাব দিয়েছেন মিয়া। বলেছেন, ‘‘অনেক কমবয়সিরাও বয়স গোপন করে পর্ন ছবিতে কাজ করতে আসেন। তাঁদের বলব এই ভুল করবেন না। এই পেশায় কাজ করার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক হওয়াটা জরুরি। কারণ অনেক কিছু বিচার-বিবেচনার ব্যাপার থাকে। শারীরিক ভাবে পরিণত হওয়ারও দরকার থাকে।’’

মিয়া তাঁর অভিজ্ঞতা থেকেই জেনেছেন, এই পেশার জগতকে বদলানো সম্ভব নয়। কারণ, যৌন পেশা পৃথিবীর আদিতম পেশা। এর নিজস্ব চরিত্র আছে। যা দীর্ঘ দিন ধরে তৈরি হয়ে এসেছে। তাই এখানে বদল চাইলে নিজেকেই মানসিকতা বদলাতে হবে।

তাই মিয়ার পরামর্শ, ‘‘যত নিজের চারপাশে বিধিনিষেধের বেড়া উঁচু করবে তত সমস্যা সেই বেড়া টপকে ঢোকার চেষ্টা করবে। তাই এই পেশায় সীমারেখা কিছুটা শিথিল রাখাই মঙ্গল।’’

মিয়া জানিয়েছেন, তিনি অত্যন্ত রক্ষণশীল পরিবারে বড় হলেও এ পেশায় এসেছিলেন। ভুল করতে করতে অনেক কিছু শিখেছিলেন। তবে এখন যখন পুরনো মিয়াকে তিনি দেখেন, তখন তাঁকে ছেলেমানুষই মনে হয় নতুন মিয়ার।