এনবি নিউজ : লকডাউনে অন্য সবার মতো নিজেও ঘরবন্দি জনপ্রিয় অভিনেতা ফারুক। তবে ইফতার কিনতে বের হয়ে তাজ্জব বনে গেছেন তিনি। এই রকম পরিস্থিতিতেও পাড়া মহল্লায় আড্ডা, তামাশা চলছে। যা নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন এই অভিনেতা।
ফারুক এক ফেসবুকে পোস্টে লিখেছেন, গতকাল ইফতার কেনার জন্য বিকালে বাসা থেকে বের হয়েছি। ধারনা ছিল লকডাউনে রাস্তা থাকবে জনশূন্য। গলির মুখে গিয়ে দেখি এলাহি কারবার। গলিতে শত শত মানুষের জটলা। উৎসব মুখর পরিবেশ। বেশিরভাগ লোকজন মাস্কবিহীন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথায় মহামারী কোথায় কি? আমি অবস্থা দেখে তাজ্জব বনে গেলাম। হায় হায় একি অবস্থা? লকডাউন মানে অতি জরুরি কাজ না থাকলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া যাবে না। মহামারীর প্রকোপ কমাতে এই ব্যবস্থা। লোকজনের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
‘কিছুক্ষণ পর দেখি গলির মুখে পুলিশ। পুলিশ দেখা মাত্র শত শত লোক বিপরীত দিকে দৌড় শুরু করলো। কিছুক্ষণের মধ্যে গলি ফাঁকা। আমি রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে রইলাম। পুলিশ আমার পাশ দিয়ে চলে গেল। মুখে বলে গেল, কেউ জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হবেন না। পুলিশ চলে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে সমস্ত গলিপথ আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে এলো।
এই অভিনেতা আরও জানান, শত শত লোকজন গলির রাস্তায় বের হয়ে এলো। কিছুলোক হয়তো জরুরি দরকারেই বের হয়েছে। বাকিরা বের হয়েছে তামাশা দেখতে আর আড্ডা দিতে। আমি তাড়াতাড়ি একটা হোটেলে ঢুকে কিছু ইফতারি কিনে বাসায় চলে এলাম। করোনা পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সকলকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। লকডাউনের সময় যথাসম্ভব ঘরে থাকতে হবে। ‘মহামারি করোনা। মাস্ক ছাড়া ঘুরোনা’ ফারুক নিজে এমন একটা স্লোগান বানিয়ে প্রচার করছেন করোনায় সচেতনতা তৈরিতে।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473