এনবি নিউজ ডেস্ক : শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে এক ব্যাটসম্যান অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়াই ক্রিকেটের সৌন্দর্য। অন্যের রেকর্ড ভেঙে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব স্থাপনের নামই ক্রিকেট।
তেমনি বুধবার আইসিসি ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাংকিংয়ে বিরাট কোহলির শ্রেষ্ঠত্বের ইতি টানলেন বাবর আজম। ভারত অধিনায়ককে টপকে চূড়ায় উঠলেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
ক্রিকেটবিশ্ব এখন বাবর আজমে মুগ্ধ। পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের এই অধিনায়ক আরও অনেক রেকর্ড গড়বেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির কিংবদন্তি ইনজামাম-উল হক।
বাবর বন্দনায় যখন ব্যস্ত গোটা ক্রিকেটবিশ্ব, তখন যে তথ্যটি সামনে এলো তা হলো— কোনো একসময় এই বাবর আজমকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান এনামুল হক বিজয়।
সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে বাবরের চেয়ে ৭৮ রান বেশি করে বিজয় হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা রান সংগ্রাহক।
ঘটনাটি ২০১২ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের। পরিসংখ্যান বলছে— সেই বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে ৬০.৮৩ গড়ে বিজয় করেছিলেন ৩৬৫ রান। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ৮৫.০৮। ছয় ম্যাচের একটিতে ১২৮ রানের একটি অনবদ্য ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন বিজয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়েছিলেন বাবর আজম। ৫৭.৪০ গড়ে ও ৬৫.৫২ স্ট্রাইকরেটে বাবর সংগ্রহ করেছিলেন ২৮৭ রান।
বাবরকে পেছনে ফেলা বিজয় এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে বহুদিন। তার জাতীয় দলে ফেরা নিয়েই সংশয় রয়েছে।
অন্যদিকে বাবর এখন পাকিস্তানের কাণ্ডারি। তিন ফরম্যাটেরই অধিনায়ক। ওয়ানডেতে বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান তিনি। টেস্টে সেরা ছয় থেকে এক নম্বর হতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ তিনি। টি-টোয়েন্টিতে বাবরের অবস্থান তৃতীয়।
বিজয় থেকে যোজন-যোজন দূরে এগিয়ে গেছেন বাবর। বাবর যখন সুপারস্টারে পরিণত, তখন বাংলাদেশের বিজয়ের নামই ভুলতে বসেছেন অনেকে।
অথচ ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বাবরের চেয়ে বিজয়কেই বেশি প্রতিভাবান মনে করা হতো।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473