এনবি নিউজ : আজ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে সরকার ঈদের আগে লকডাউন শিথিলেরও চিন্তা ভাবনা করছে।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের তথ্য জানায় সরকার। করোনায় প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ। এরপর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছিল। কয়েক দফায় বাড়িয়ে টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল। একপর্যায়ে করোনার সংক্রমণ কমেও গিয়েছিল। কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে করোনার সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। পরপর তিন দিন করোনায় সংক্রমিত হয়ে একশজনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
এমন পরিস্থিতিতে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য গণপরিবহন চলাচলসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আরও কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হয়। বর্তমানে লকডাউনে সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থলবন্দর এবং এ-সংক্রান্ত অফিসগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে। প্রথম ব্যাংক বন্ধের ঘোষণা দিলেও পরে তা আবার খোলার সিদ্ধান্ত হয়। আর শিল্পকারখানাগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু আছে।
এই লকডাউন আরও বাড়বে কি না, সেটি নিয়ে মানুষের মধ্যে আলাপ-আলোচনা চলছে। এরমধ্যেই করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আরও এক সপ্তাহের জন্য ‘কঠোর লকডাউনের’ সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গতকাল রোববার রাতে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৩১তম সভায় লকডাউন বাড়ানোর প্রস্তাব গৃহীত হয়। বৈঠকে করোনার সংক্রমণের হার বিবেচনা করে আবার সিদ্ধান্ত নেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ধীরে ধীরে লকডাউন শেষ করার পূর্ব পরিকল্পনা তৈরির রাখার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473