এনবি নিউজ : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তল্লা মসজিদের পাশের বাড়িতে গ্যাসের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ ১১ জন দগ্ধ হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার ভোরে মডেল গার্মেন্টসের দক্ষিণ পাশে স্থানীয় মফিজুল ইসলামের তিনতলা বাড়ির তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। অপর ছয়জনকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় বেশ কয়েকটি পরিবার বসবাস করেন। তারা কমন (একটি) রান্নাঘরেই রান্নার কাজ করতেন।
ফ্ল্যাটের একজন বাসিন্দা আব্দুল্লাহ জানান, ঘুমের মধ্যেই হঠাৎ বিকট শব্দে একটি দরজা ভেঙে আমার ওপর এসে পড়ে। কিছু বুঝে উঠার আগেই দেখি পাশের ঘরে আগুন এবং দুটি ঘরের দেয়াল পাশের তিনতলা ভবনের ছাদে পড়ে আছে। বের হয়ে দেখি একই পরিবারেরই ৬ জন দগ্ধ অবস্থায় কাতড়াচ্ছেন।
আশপাশের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সেহেরির সময় এ ঘটনা ঘটায় আশপাশের সবাই জেগে গিয়েছিল। অনেকে বালু, পানি দিয়ে তাৎক্ষণিক আগুন নেভানোর চেষ্টা করায় আগুন ছড়াতে পারেনি।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোসহ দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন- হাবিবুর রহমান, লিমন, সাথী, মীম, মাহিরা (৩ মাস), আলেয়া, সোনাহার, শান্তি, সামিউল, মনোয়ারা ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি।
এদের মধ্যে লিমন, সাথী, মীম, মাহিরা ও আলেয়াকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় বেশ কয়েকটি পরিবার বাস করেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতে কেউ চুলা বন্ধ না করেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতে চুলা থেকে গ্যাস বের হয়ে রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরে ছড়িয়ে জমাট বেধে থাকে। সেহেরির সময় চুলায় আগুন জ্বালালে গ্যাসের পাইপ লাইনের বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় এক শিশুসহ ছয়জন নারী ও চারজন পুরুষ দগ্ধ হন।
এদের মধ্যে শিশুটিসহ পাঁচজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয় এবং ছয়জনকে সদরের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয় বলে জানান তিনি।
গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বরও ফতুল্লার তল্লা মসজিদের ভেতরে গ্যাস জমা হয়ে ছিল। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) মসজিদটিতে নামাজের সময় দরজা, জানালা লাগিয়ে সব এসি চালু করে দেওয়া হয়।
এ সময়ই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে মসজিদের অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন চালু করতে কাটআউট যুক্ত করার সময় বৈদ্যুতিক সুইচে স্ফুলিঙ্গ (স্পার্ক) হয়। স্ফুলিঙ্গ পেয়ে বিকট শব্দে গ্যাস বিস্ফোরণ হয় এবং আগুন ধরে যায়। এতে ভেতরে থাকা ৩৭ জনের মধ্যে ৩৪ জন পুড়ে মারা যান।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473