এনবি নিউজ : জুন মাসের শুরুতে সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে প্রায় তিন ঘণ্টা মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। এতে নগরজুড়ে উষ্ণতা ছাড়িয়ে শীতল হলেও বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। কোনো কোনো সড়কে জমেছে হাঁটু পানি, কোথাও কোথাও ফুটপাত পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিপত্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। এর মধ্যে যারা অফিসে বা কাজে যোগ দিতে বের হয়েছেন, তারা পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগ আর ভোগান্তিতে। বৃষ্টির কারণে সড়কে গণপরিবহনও অনেক কম দেখা গেছে।
বর্ষা বা বৃষ্টি মানেই রাজধানীবাসীর কাছে জলাবদ্ধতার একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা। মঙ্গলবার (১ জুন) সকালে যারা জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হয়েছেন, তারা এটি হাড়ে হাড়ে বিষয়টি টের পেয়েছেন। জলাবদ্ধতার কারণে অফিসগামী লোকজনকে ছাতা মাথায়, প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গুটিয়ে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। আর যারা গণপরিবহন পাচ্ছেন না, তারা প্যান্ট গুটিয়ে পানি মাড়িয়েই কর্মক্ষেত্রের দিকে রওনা হচ্ছেন। অন্যদিকে সড়ক ডুবে গিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র যানজটের।
প্রতি বছরই জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে। বৃষ্টি হলেই নগরীর অলিগলি ও ছোট পরিসরের রাস্তাগুলোতেও জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। রাজধানীর পানি নিষ্কাশন পথগুলো আবর্জনায় ভরাট হয়ে থাকায় দ্রুত পানি নামতে না পারায় প্রতিবারই এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই মতিঝিল, গুলিস্তান, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, মালিবাগ, রামপুরা, পুরান ঢাকা, খিলক্ষেতসহ বিভিন্ন এলাকার সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়া বছর ঘুরে নিয়মিত চিত্র।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে রাজধানীর গুলশান বাড্ডা লিংকরোড, বৈশাখী সরণির সামনের সড়কেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে এর মধ্যে দিয়ে যখন যানবাহন চলছে তখন সড়কে জলাবদ্ধতার কারণে ঢেউ এসে পড়ছে ফুটপাতে। তাতে ভিজে যাচ্ছে পথচারীদের শরীর, জামা-কাপড়।
আতিকুর রহমান আমিন নামের এক বেসরকারি চাকরিজীবী জলাবদ্ধতার মধ্যেই ছাতা মাথায় নিয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছেন। তিনি বলেন, গুলশান রিংরোডে অফিসে যাব, কিন্তু গণপরিবহন কম তাই হেঁটেই সামনের দিকে এগোতে শুরু করেছি। কিন্তু সড়কেও জলাবদ্ধতা, হাঁটাও যাচ্ছে না। জলাবদ্ধতার কারণে এর মধ্য দিয়ে যখন গণপরিবহন চলছে তখন ফুটপাতেও ঢেউ এসে পড়ছে, জামা-কাপড়ও ভিজে যাচ্ছে। কিন্তু অফিসে তো যেতে হবে, তাই এরমধ্যেই বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে।
এদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি দুপুর পর্যন্ত চলার কথা রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও আজ দিনভর বৃষ্টির দেখা মিলতে পারে। এছাড়া ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস রয়েছে। এ কারণে নদীবন্দরকে ১ নং সংকেত দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ মো. আরিফ হোসেন এ প্রতিবেদককে বলেন, থেমে থেমে রাজধানীতে দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানেও বৃষ্টি হচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ/আর/জি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473