আসাদুজ্জামান তপন : চট্টগ্রাম থেকে আজ শুক্রবার রোহিঙ্গাদের একটি দলকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে চারটি জাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়। আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার পর থেকে জাহাজগুলো ভাসানচরের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
জাহাজে ওঠার সময় শাহাবুদ্দিন নামে এক রোহিঙ্গা এনবি নিউজকে জানান, ভাসানচরে সুযোগ-সুবিধা বেশি বলে সেখানে থাকা ভাইয়েরা তাঁকে জানিয়েছেন।
জাহাজে ওঠার আগে রিয়া খাতুন নামে আরেক রোহিঙ্গা এনবি নিউজকে জানান, তাঁর চার সন্তান। তাঁদের নিয়ে তিনি ভাসানচরে যাচ্ছেন। সেখানে তাঁর অন্য আত্মীয়স্বজন রয়েছেন।
আজ ও আগামীকাল দুই দিনে তিন হাজার রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের প্রস্তুতি রয়েছে বলে গতকাল অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা জানান।
গতকাল ৩৮টি বাসে করে অন্তত ৩৫৩ পরিবারের ১ হাজার ৭৮৭ জনকে চট্টগ্রামে আনা হয়। আজ সকালে তাদের সবাইকে নিয়ে চারটি জাহাজ রওনা দেয়। আজ আরও ১ হাজার ৩০০ জনকে চট্টগ্রামে আনা হবে। সেখান থেকে তাঁদের নৌবাহিনীর জাহাজে করে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হবে।
এর আগে ২০২০ সালের ৪ ও ২৯ ডিসেম্বর দুই দফায় ৩ হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প-২ ইস্ট রোহিঙ্গা শিবিরের কর্মকর্তা (ইনচার্জ) মো. রাশেদুল ইসলাম গতকাল জানান, ওই শিবির থেকে স্বেচ্ছায় ছয় শতাধিক রোহিঙ্গা ভাসানচরে যেতে চট্টগ্রামে গেছে।
আত/২৯ জানুয়ারি'২০২১