এনবি নিউজ : আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে প্রথমে স্টাম্পে লাথি দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। পরে তিনটি স্টাম্প তুলে আছাড় দিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ক্রিকেট মাঠে সাকিবের এমন আচরণ যে অশোভনীয়, তা মানছেন ক্রিকেটবোদ্ধা, ভক্তসহ প্রায় সবাই। আজ তার বিরুদ্ধে সাজাও ঘোষণঅ হতে পারে। কিন্তু অনেকে বলছেন, সাকিব লাথি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের দৈন্যদশা। পক্ষপাতমূলক আম্পায়ারিং যে ঘরোয়া ক্রিকেটকে দিনের পর দিন কলুষিত করছে, সাকিবের আচরণকে তারই প্রতিবাদ বলছেন অনেকে।
গতকাল শুক্রবার দিনভর আলোচনার কেন্দ্রে সাকিব আল হাসান। রাতে নিজের ফেসবুক পাতায় সাকিবপত্নী লিখেছেন, ‘পুরো বিষয়টি আমিও খুব উপভোগ করছি। অবশেষে টিভিতে কিছু খবর পাওয়া গেল। যারা আজকের (শুক্রবার) ঘটনার পরিষ্কার চিত্র বুঝতে পেরেছে, তাদের সমর্থন দিতে দেখা সত্যিই দারুণ। অন্তত কোনো একজনের তো সব প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর সাহসটা রয়েছে।’
এরপর শিশির লিখেছেন, ‘যাই হোক, এখানে মূল বিষয়টা চাপা পড়ে যাচ্ছে, কারণ গণমাধ্যমে তার (সাকিব) দেখানো রাগের বিষয়টিই শুধু সামনে আসছে। পুরো ঘটনায় মূল বিষয়টা হলো আম্পায়ারদের নেওয়া ক্রমাগত ভুল সিদ্ধান্তগুলো। কিন্তু (গণমাধ্যমের) শিরোনামগুলো সত্যি দুঃখজনক। আমার কাছে মনে হয়, এটা তার (সাকিবের) বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র, যা দীর্ঘসময় ধরে চলে আসছে, যাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে তাকে খলনায়ক বানানো যায়। আপনি যদি ক্রিকেটপ্রেমী হয়ে থাকেন, তাহলে নিজের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।’
গতকাল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির ম্যাচে অবিশ্বাস্য আচরণ করেছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে মেজাজ হারিয়েছেন। স্টাম্পে লাথি মারা, স্টাম্প আছাড় দেওয়া, এমনকি আম্পায়ারদের সঙ্গেও তর্কে জড়িয়ে যান সাকিব। তবে, ম্যাচটি শেষ হওয়ার পরপরই ক্ষমা চেয়েছেন সাকিব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভুলের জন্য টুর্নামেন্ট সংশ্লিষ্ট সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
ম্যাচ চলাকালীন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের জন্য শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তবে, কী শাস্তি হবে সেটা এখনই নিশ্চিত নয়। ম্যাচ অফিশিয়ালদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সাকিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোহামেডান ও আবাহনীর মধ্যকার ম্যাচ শেষে এমনটাই জানিয়েছেন প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের আয়োজক সংগঠন সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম।
প্রতি ম্যাচের পর রেফারির কাছে খেলার রিপোর্ট দিয়ে জমা দিয়ে থাকেন আম্পায়াররা। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন ম্যাচ রেফারি। সাকিবের ক্ষেত্রেও তাই হতে যাচ্ছে। সেই সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে আজ।