‘ভালোবাসার প্রজাপতি’তে সর্বশেষ ২০২০-এর জুনে কাজ করেন পপি। ছবিটির প্রায় ২০ শতাংশ কাজ এখনো বাকি। শেষ করতে আরও দুদিন শুটিং করতে হবে। তাঁর বাসায় গিয়ে ফিরে এসেছেন ছবির এক পরিচালক মাসুমা তানি। আরেক পরিচালক রাজু আলীম জানান, আর কিছুদিন অপেক্ষার পর অন্য উপায়ে ছবির শুটিং শেষ করবেন। পপির জন্য আর বসে থাকবেন না।
ছয় মাস আগে ‘ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ ছবির শুটিং শেষ করেন পপি। পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী জানান, ডাবিং না করেই হাওয়া। দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর আরেকজনকে দিয়ে ডাবিং করাতে হয়েছে। ছবিটি এখন মুক্তির জন্য প্রস্তুত। প্রচারণার জন্য এখন পপিকে দরকার। সাদেক সিদ্দিকী বলেন, ‘নায়িকা যদি টেলিভিশন, পত্রিকার সঙ্গে কথা বলতেন, নিজের ফেসবুকে প্রচার চালাতেন, ছবিটি সম্পর্কে মানুষ জানত। ছবিটি দেখার আগ্রহ তৈরি হতো।’
পপি আবার ঢালিউড তারকা মৌসুমীর ফুফাতো বোন, ওমর সানীর শ্যালিকা। মৌসুমীর পরিবারও কিছু জানে না। কয়েক মাস হলো, পপির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এমনকি মৌসুমীর ছেলে ফারদিনের বিয়েতেও আসেননি। ওমর সানী বলেন, ‘ফারদিনের খুব ইচ্ছা ছিল, বিয়েতে পপি খালা থাকবে। কিন্তু কোনোভাবেই তাঁর সন্ধান পাইনি। তাকে না পেয়ে ছেলের বিয়ের সময় মৌসুমী কেঁদেছে।’
তবে পপির বিয়ের গুজব নিয়ে কিছু বলতে চাননি ওমর সানী, ‘এ ব্যাপারে কিছুই বলব না। বিয়ে করুক বা না করুক, যেখানেই থাকুক, যেন সুখে থাকে, ভালো থাকে। তবে আত্মীয় হিসেবে আমাদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রাখা উচিত ছিল।’
পপির দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও কাছের বন্ধু নায়ক ফেরদৌস। পপির সঙ্গে তাঁর শেষ দেখা হয়েছে ফিল্ম ক্লাবের নির্বাচনের সময়। ফোনে কথা হয়েছে, সে–ও মাস তিনেক। তাঁর বিয়ের ব্যাপারটি তিনিও জানেন না। ফেরদৌস বলেন, ‘বিয়ের খবর লোকমুখে শুনেছি। পপি আমার ভালো বন্ধু। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত অনেক কথা আমাকে না–ও বলতে পারেন। মাস তিনেক আগে বারিধারায় তাঁর নতুন ফ্ল্যাট কেনার খবর দিয়েছিলেন ফোনে। বলেছিলেন, বাড়িটি সুন্দর করে সাজাবেন—এতটুকুই।’
পপির খবর নিতে গত শুক্রবার তাঁর বাবা আমির হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হয়। খুলনা থেকে তিনি বলেন, ‘পপি ঢাকাতেই আছে।’ পপির বিয়ে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমিও তেমনই শুনেছি। এর বেশি আমার জানা নেই।’
তাঁর সহকর্মী ও ভক্তদের প্রত্যাশা, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই অভিনেত্রীর জীবনে যা–ই ঘটুক না কেন, তিনি শিগগিরই ফিরবেন সবার মাঝে, করবেন সব জল্পনাকল্পনার অবসান।