এনবি নিউজ : গুলশানের অল কমিউনিটি ক্লাবে চিত্রনায়িকা পরীমনি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর ইকবাল।
আজ বুধবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি। বলেন, ‘৭ জুন দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে তিনি ক্লাবে আসেন। এ সময় পরীমনি ১৫টি গ্লাস, ৯টি ছাইদানি (অ্যাশট্রে) এবং বেশ কিছু হাফ প্লেট ভাঙচুর করেন।’
কে এম আলমগীর ইকবাল বলেন, ‘তার (পরীমনির) সঙ্গে হাফপ্যান্ট পরা একজন ভদ্রলোক ছিলেন এবং একজন নারী সঙ্গী ছিলেন। ক্লাবের এক সদস্যের রেফারেন্সে তিনি আসেন সেখানে। সেই সদস্যকে শোকজ করা হয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আমরা এই মুহূর্তে কোনোভাবে আইনি ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছি না। কারণ, এতে আমাদের ক্লাবের মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ হতে পারে। আমরা কোনও জিডি করিনি।’
ঘটনার বিস্তারিত বিষয়ে ইকবাল বলেন, ‘আমাদের ক্লাবের ফুড অ্যান্ড বেভারেজের অ্যাডমিন এবং ডিরেক্টর বেরিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি দেখেন। দেখে তারা পরীমনিকে বলেছেন, আপনি তো ক্লাব রুল ভায়োলেট করেছেন। আপনি তো এমন করতে পারেন না। তখন উনারা ক্ষিপ্ত হয়ে যান। উনাদের আচার-আচরণ গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় বলা হয়েছে চলে যেতে। উনারা যাচ্ছিলেন না দেখে আমাদের পরিচালকই ক্লাব থেকে চলে যান। তারপর যে সদস্য উনাদের এনেছিলেন, উনিও তাদের চলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু উনারা যাচ্ছিলেন না দেখে ওই সদস্য নিজেও চলে যান।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর উনারা অকস্মাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে যান এবং গ্লাস, অ্যাশট্রে ছুড়ে মারতে থাকেন।’
আলমগীর ইকবাল জানান, এরপর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে তারা পুলিশ কল করেন। পুলিশ আসার পরে দেখতে পায়, উনি এগুলো ছুড়ে মারছেন। তখন পুলিশ জিজ্ঞেস করে, কেন কল করেছেন। উনারা বলেন আমাদের সঙ্গে এই হয়েছে সেই হয়েছে। পুলিশ সদস্যরাই তখন বলেন, এরকম কিছু তো আমরা দেখছি না। তখন কেউ ছিল না, দুই জন ওয়েটার ছিল, আর উনারা ৩ জন ছিলেন। তারপর পুলিশ ভাইয়েরা ওয়্যারলেসে ওপরের মহলে জানতে চায়—আমরা কী করবো। তখন সেখান থেকে নির্দেশ আসে, উনারা এরকম করতে থাকলে, তাদের বের করে দিয়ে চলে যান। তখন এই আওয়াজ শুনে উনারা কিছুটা ঠান্ডা হন এবং পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা চলে যান। এরপর আর অন্য কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমরা ক্লাব কর্তৃপক্ষ ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী শোকজ করেছি এবং এটার বিরুদ্ধে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটি চলমান অবস্থায় আছে।
অল কমিউনিটি ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কে এম আলমগীর ইকবাল আরও বলেন, ‘আমরা তাকে চিনতাম না, কোনও দিন দেখিনি। পরে একজনের কাছে শুনেছি ওনার নাম পরীমনি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘৯৯৯ এর কল পেয়ে গুলশান থানা পুলিশের একটি দল অল কমিউনিটি ক্লাবে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে দেখে পরীমনি ও তার সঙ্গীরা কিছু ভাঙচুর করেছে। কিন্তু দুই পক্ষই মিটমাট করে ফেলায় পুলিশ সেখান থেকে চলে আসে। এ ঘটনায় পুলিশ বিষয়টি জিডিমূলে নথিভুক্ত করে রেখেছে।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা ইন্টারনাল জিডি। কোনও ঘটনা বা ফোর্স বাইরে বের হলেই আমাদের জিডিমূলে ঘটনা বা অভিযানের বিষয়ে নথিভুক্ত করে রাখতে হয়। এটা কোনও অভিযোগের জিডি না। ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোনও অভিযোগ দিলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473