এনবি নিউজ : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন করোনা পজিটিভ ছিলেন। অন্য আট জন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে। আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের মৃত্যু হয়। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শামীম ইয়াজদানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. শামীম ইয়াজদানী জানান, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পাঁচ জনের মধ্যে রাজশাহীর দুজন, নাটোরের দুজন ও পাবনার একজন রয়েছেন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া আট জনের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন, নাটোরের একজন ও নওগাঁর একজন রয়েছেন। মৃত ১৩ জনের মধ্যে পুরুষ নয় জন এবং নারী চার জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের বয়স বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন এবং ৬১ বছরের ঊর্ধ্বে সাত জন রয়েছেন।
হাসপাতাল পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছে ৬১ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৪৪ জন। শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৪০৫ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪৭৮ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ৩২৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫১ জন, নাটোরের ৩৮ জন, নওগাঁর ৪০ জন, পাবনার নয় জন, কুষ্টিয়ার সাত জন, চুয়াডাঙ্গার তিন জন, জয়পুরহাটের দুজন, সিরাজগঞ্জের দুজন ও মেহেরপুরের এক জন রয়েছে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৩৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৬ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
এদিকে দেশব্যাপী শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন আজ শনিবার রাজশাহীতে পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা টহল দিচ্ছেন। রয়েছেন জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত। অযথা ঘোরাফেরা করলে কিংবা দোকান খোলার চেষ্টা করলে গুনতে হচ্ছে জরিমানা। ওষুধের দোকান ছাড়া নগরীতে অন্যান্য দোকান ও শপিংমল বন্ধ রয়েছে। তবে কাঁচাবাজার খোলা থাকছে সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত।