ঢাকা: কঠোর বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে রাজধানীর মহাখালী এলাকা অনেকটাই ফাঁকা। তবে রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হলেও মানুষের চলাচলও আগের চেয়ে বেড়েছে। শনিবার (৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর মহাখালী এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
মহাখালী রেলক্রসিং, আমতলা, ফুটওভারব্রিজ, ডিওএইচএসের গেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় চার চাকার ব্যক্তিগত গাড়ির আধিক্য বেড়েছে। মহাখালী পুলিশ বক্সের সামনে ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন গাড়ি তল্লাশি করছে। রাস্তায় বেশ সংখ্যক রিকশা রয়েছে। কোনো কোনো রিকশাওয়ালা যাত্রী পাচ্ছেন না। আবার ভাড়াও দ্বিগুণ দাবি করা হচ্ছে।
বিধিনিষেধের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ তেমন দেখা যায়নি। তবে শনিবার রাস্তায় অধিক পরিমাণ গাড়ি লক্ষ করা গেছে।
মহাখালী এলাকায় ফেরি করে মাস্ক বিক্রেতা ফুহাদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ছিলাম না। তবে শুক্রবারের চেয়ে রাস্তায় গাড়ি বেড়েছে। মানুষের আনাগোনাও বেড়েছে।’
মহাখালী এলাকার একটি দোকানি শাহীন বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের চেয়ে আজ এ এলাকায় গাড়ির চাপ বেশি। বেশিরভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি। এছাড়া সাধারণ মানুষের চাপও রাস্তায় বেড়েছে।’
জানতে চাইলে মহাখালী এলাকায় কর্মরত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (গুলশান বিভাগ) দেলোয়ার হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘রাস্তায় তেমন গাড়ি নেই। চাপ বেড়েছে বলে আমার মনে হয় না। সন্দেহ মনে হলে আমরা গাড়ি চেক করছি।’
এদিকে, মহাখালী এলাকার অলগলির বেশিরভাগ দোকানপাট খোলা রয়েছে। অর্ধেক শাটার নামিয়ে চলছে মনিহারি দোকান। কোনো কোনো দোকানের সামনে ক্রেতাদের আড্ডা দিতেও দেখা গেছে।
চলছে অটোরিকশা-মোটরসাইকেল: রাস্তায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলছে। মোটরবাইকে দরদাম করে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্সেও রোগী পরিবহনের বদলে যাত্রী পরিবহন চলছে।
জানতে চাইলে অটোরিকশা চালক দেলোয়ার বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল এখন নিষেধ। এরইমধ্যে তিন হাজার টাকার মামলা খেয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘শ্যামলী হাসপাতালে আমার রোগী আছে। তাই বের হয়েছি। এক ট্রিপ নিয়ে মহাখালী এসেছি। আবার শ্যামলী চলে যাব।’
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473