এনবি নিউজ : কঠোর বিধিনিষেধের অষ্টম দিনেও বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই)রাজধানীতে যানবাহন ও মানুষের চলাচল একটুও কমেনি। বিধি নিষেধ মানতে মানুষের অনীহা দিন দিন যেনো বেড়েই চলছে। জরুরি কাজের পাশাপাশি নানান অজুহাতের সুযোগ নিয়ে মানুষ রাস্তায় বের হচ্ছে।
মানুষের সঙ্গে ব্যক্তিগত গাড়ি, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ চলাচল চলছে। করোনা ভাইরাসে একদিনে মৃত্যু ২০০ পার হওয়া ও সংক্রমণের মাত্রা ৩১ শতাংশ পার হওয়ার পরেও মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে কোন সচেতনতা দেখা যায়নি।
আজও রাজধানীতে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল স্বাভাবিক সময়ের কাছাকাছি দেখা গেছে। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শ্যামলী সিনেমা হলের সামনে থেকে ক্রিসেন্ট লেক এর সিগন্যাল পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে।
এই সড়কে রিকশা না চললেও ব্যক্তিগত যানবাহন এবং পণ্যবাহী যানবাহনের চাপে এই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। কতব্যরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছিলেন। এই যানজটের রেস আসাদগেট থেকে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোড পর্যন্ত পড়েছে। কলাবাগানের কাছে চেকপোস্টে পুলিশের চেকপোষ্টে জিজ্ঞাসাবাদের কারণে এখানেও যানবাহনের লাইন দেখা গেছে।
ধানমন্ডির আবাহনী মাঠ সংলগ্ন স্টার কাবাবের সামনের রাস্তায় মানুষ এবং যানবাহনের চালাচল আজ অনেক বেশি রয়েছে। এই চেকপোস্ট থেকে শংকর বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা যানবাহন থামিয়ে বাইরে আসার কারণ জানতে লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
সকালের দিকে সায়েন্স ল্যাবরেটরী এবং শাহবাগ এলাকায় পুলিশের চেকপোস্টে লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তাই জানাচ্ছেন জরুরী প্রয়োজনে তারা ঘর থেকে বের হয়েছেন।
সকাল থেকে রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, গুলশান, বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় আগের দিনগুলোর তুলনায় সড়কে মানুষ, রিকশা, যানবহন অনেক বেড়েছে। খিলগাঁও চৌরাস্তা যানবাহনের চাপের কারণে সেখানেও যানজটের সৃষ্টি হয়।
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473