নিউজ ডেস্ক : পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন বিমান বাহিনী অন্তত দুই ডজন এফ-২২ জঙ্গিবিমানের বিশাল বহর পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জো বাইডেন সরকার। দক্ষিণ চীন সাগর ও চাইনিজ তাইপে (তাইওয়ান) নিয়ে যখন ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেইজিংয়ের উত্তেজনা চলছে তখন পূর্ব এশিয়ায় রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম এসব জঙ্গিবিমান পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত আমেরিকার প্যাসিফিক এয়ার ফোর্স বলেছে, হাওয়াই ও আলাস্কা থেকে চলতি মাসে আনুমানিক ২৫টি এফ-২২ যুদ্ধবিমান গুয়াম ও তিনিয়ান দ্বীপে মোতায়েন করা হবে। সিএনএন জানিয়েছে, এসব যুদ্ধবিমান আসন্ন ‘অপারেশন প্যাসিফিক আয়রন-২০২১’ মহড়ায় অংশ নেবে।
প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সের কমান্ডার, জেনারেল কেন উইলসবাখ বলেছেন, “আমরা আমাদের বাহিনীর আওতাভুক্ত অঞ্চলে একসঙ্গে এত বেশি সংখ্যক যুদ্ধবিমান কখনও মোতায়েন করিনি।”
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, আমেরিকার পক্ষ থেকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক এফ-২২ মোতায়েন করে মূলত চীনকে সতর্ক করতে চায় ওয়াশিংটন। বিশেষ করে দু’দেশের মধ্যে যখন বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা ও চাইনিজ তাইপে (তাইওয়ান) নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে তখন আমেরিকা এসব যুদ্ধবিমান পাঠিয়ে চীনকে সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চায়।
আমেরিকার প্যাসিফিক কমান্ডের জয়েন্ট ইন্টেলিজেন্স সেন্টারের সাবেক পরিচালক কার্ল শুস্টার সিএনএনকে বলেছেন, প্যাসিফিক এয়ারফোর্স বেইজিংকে এ বিষয়টি দেখাতে চায় যে, আমেরিকার পক্ষে স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে পঞ্চম-প্রজন্মের বিপুল সংখ্যা যুদ্ধবিমান মোতায়েন করা সম্ভব।অথচ চীনের পঞ্চম-প্রজন্মের মোট যুদ্ধবিমানের সংখ্যাও এতগুলো নয়।তিনি আরো বলেন, সাধারণত মার্কিন বিমান বাহিনী যেকোনো অঞ্চলে ছয় থেকে ১২টি এফ-২২ মোতায়েন করে।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473