শনিবার গভীর রাতে চেমবুরের ভারত নগর এলাকায় একটি বাড়ি ও রোববার সকালে বিক্রোলির সুরিয়া নগরে আরেকটি ভবন ধসে পড়ে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত চার থেকে পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চেমবুরে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সাত জনের মৃতদেহ বের করে আনা হয় ও ১৫ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিক্রোলিতে দোতালা একটি আবাসিক ভবন ধসে অন্তত তিন জন নিহত হয়। এখানে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আরও নয় জনকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সিটি করপোরেশনের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সেল পরে দুই ঘটনায় ১৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে।
দুই জায়গায়ই ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বেশ কয়েকজন আটকা পড়ে রয়েছেন বলে ভারতের দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী ও মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছে। উদ্ধার কাজ অব্যাহত আছে।
শনিবার রাত থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত মুম্বাই ও এর আশপাশের এলাকায় টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শহরজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করে লোকজনকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টা থেকে রোববার ভোররাত ২টা পর্যন্ত মুম্বাই শহরে ১৫৬ দশমিক ৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে আবহাওয়া কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এতে মুম্বাইয়ের নিচু এলাকাগুলো পানিতে পানিতে তলিয়ে যায়। কয়েকটি জায়গায় ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে।
নগরীর বোলিভালির পূর্ব দিকের এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি গাড়ি পানিতে ভেসে যায়। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ডুবে যাওয়ায় কোনো কোনো লাইনে ট্রেন বন্ধ হয়ে রয়েছে ও দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
মুম্বাইয়ে আগামী পাঁচ দিন ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ।