এনবি নিউজ : বেড়েই চলেছে দেশের বেশ কয়েকটি নদীর পানি। বিশেষ করে যমুনা নদীর পানি বাড়ছে বেশি। এই নদীর ৮ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়া আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই নদীর পানি আরও বাড়তে পারে। এতে আরও কিছু এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যেতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী এবং ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, পাবনা মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। বাড়তে পারে ব্রহ্মপুত্র নদ, পদ্মা, মনু ও খোয়াই নদীর পানি। এছাড়া যমুনা নদীর পানি স্থিতিশীল থাকলেও আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পানির উচ্চতা বাড়তে পারে। তবে গঙ্গা নদীসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীগুলোর পানি কমছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আরও জানায়, যমুনা নদীর আট পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই নদীর মথুরা পয়েন্টে পানি ২ থেকে বেড়ে এখন ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই নদীর আরিচা পয়েন্টে পানি ১ থেকে বেড়ে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে পানি ২ থেকে বেড়ে ১৪, সারিয়াকান্দি পয়েন্টে ২২ থেকে বেড়ে ৩২, কাজিপুর পয়েন্টে ১৭ থেকে বেড়ে ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এছাড়া নতুন করে ফুলছড়ি পয়েন্টে ১০, সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৪, পোড়াবাড়ি পয়েন্টে পানি ৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এদিকে পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪৩ থেকে বেড়ে ৪৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সুরেশ্বর ও ভাগ্যকুল পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। অন্যদিকে আত্রাই নদীর বাঘাবাড়ি পয়েন্টে পানি এখন বিপৎসীমার ৩৪ থেকে বেড়ে ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। ধলেশ্বরী নদীর এলাসিন পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩৫ থেকে বেড়ে ৪৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মেঘনার চাঁদপুর পয়েন্ট, দুধকুমার নদীর পাটেশ্বরী পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। এদিকে ধরলা নদীর কুড়িগ্রাম পয়েন্টে পানি ৩২ থেকে বেড়ে ৩৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে এখন।
গত ২৪ ঘণ্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে মৌলভীবাজার স্টেশনে, ৯৩ মিলিমিটার। এছাড়া মনু রেলওয়ে ব্রিজে ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। অন্যদিকে উজানে ভারতের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে আইজলে, ২৫ মিলিমিটার। এছাড়া দার্জিলিংয়ে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473