এনবি নিউজ : কভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে অনন্য অবদান রাখায় ‘কভিড হিরো’ পুরস্কার পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এবং সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ইএনটি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু। রোটারি ইন্টারন্যাশনাল স্বাস্থ্যবিধি মেনে গত শুক্রবার রাজধানীর হোটেল শেরাটনে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে রোটারি ইনটারন্যাশনালের প্রেসিডেন্টের পক্ষে প্রায় ২ হাজারের অধিক রোটারিয়ানের উপস্থিতিতে এই পুরস্কার হস্তান্তর করেন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল রিজওনাল পাবিলক ইমেজ কো-অর্ডিনেটর এস এম শওকত হোসাইন, বতর্মান রোটারি ডিসট্রিক ৩২৮১ এ-র গর্ভনর ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী ও সদ্য বিদায়ী ডিসট্রিক গভর্নর এমডি রুবায়েত হোসেন।
করোনা শুরুর প্রাক্কালে এ ভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন গঠনমূলক ও সতর্কতামূলক কাজকর্ম শুরু করেন ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় করোনার লক্ষণ, উপসর্গ ও প্রতিরোধ বিষয়ক নানা দিকনির্দেশনা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এই চিকিৎসক। বিভিন্ন সরকারি সভা, সেমিনার ছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগেও আয়োজন করেন কভিড বিষয়ক নানা সেমিনার। এছাড়া করোনা প্রতিরোধে গঠিত বিভিন্ন টাস্কফোর্সে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করেন ডা. আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, গত দেড়টা বছর চেষ্টা করেছি কভিড নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে যখন চীনে এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটে তখন থেকেই এ বিষয়ে অধিক জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করেছি। বলতে পারেন, করোনা নিয়ে প্রতিনিয়ত শিখেই যাচ্ছি। আর সেই জ্ঞানগুলোর মাধ্যমে চেষ্টা করছি সচেতনতা বাড়াতে। আমার এই পুরস্কার যেসব চিকিৎসকদের উৎসর্গ করছি যারা করোনায় চিকিৎসা দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এবং যারা এখনো সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ইএনটি বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত অবস্থায় ২০২০ সালের এপ্রিলে কভিড ডেডিকেটেড ডক্টরস ফোরামের সভাপতি নির্বাচিত হন অধ্যাপক ডা. মনিলাল আইচ লিটু। এ সময় ডাক্তারদের নিয়মিত চিকিৎসা প্রদান নিশ্চিতের লক্ষ্যে কাজ করে গেছেন তিনি। এ সম্পর্কে ডা. মানিলাল আইচ লিটু বলেন, সকল চিকিৎসক মিলে যখন আমাকে কভিড ডেডিকেটেড ডক্টরস ফোরামের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করে তখন দায়িত্ববোধের স্থান থেকে আমি চেষ্টা করেছি মুগদা হাসপাতালের সর্বস্তরের চিকিৎসক, কর্মকর্তা, কর্মচারি ও নার্সদের সক্রিয় করতে। কাজেই এই পুরস্কার তাদেরই প্রাপ্য, আমার নয়।
রোটারি ইন্টারন্যাশনাল সূত্র থেকে জানা যায়, করোনা প্রতিরোধে সামনে থেকে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া, জনসচেতনতা সৃষ্টি, অনলাইনে চিকিৎসা সেবাপ্রদানসহ সার্বিক কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ এবং অধ্যাপক ডা. মনিলাল লিটুকে।
এ টি
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473