এনবি নিউজ : অর্থ আত্মসাত আর প্রতারনার অভিযোগে গ্রেপ্তার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ইভ্যালি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে গুলশান থানায় সোর্পদ করেছে র্যাব। পরে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দেশব্যাপী বহুল আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখ বলে জানিয়েছে র্যাব। শুক্রবার এক ব্রিফিংয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইভ্যালি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল জেনেশুনে নেতিবাচক স্ট্র্যাটেজি গ্রহণ করেন। বিভিন্ন লোভনীয় অফারের ফাঁদে ফেলে খুব দ্রুত সাধারণ মানুষকে ইভ্যালির গ্রাহকে পরিণত করেছেন। বর্তমানে তার গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখের বেশি।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, বিভিন্ন লোভনীয় অফারের মাধ্যমে স্বল্পতম সময়ে এসব গ্রাহক সংগ্রহ করেছেন বলে র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন ইভ্যালির সিইও রাসেল।খন্দকার আল মঈন বলেন, ইভ্যালি প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই একটি লোকসানি কোম্পানি। কোনো ব্যবসায়িক লাভ এ যাবৎ করতে পারেনি। গ্রাহকদের থেকে পাওয়া অর্থ দিয়েই ইভ্যালি চলত। রাসেল তার কোম্পানির ব্যয়, বেতন, নিজস্ব খরচ নির্বাহ করতেন। ক্রমে ক্রমেই তার দায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে রাসেল জানিয়েছেন, সাভারে তার ব্যক্তিগত কোটি কোটি টাকার সম্পতি রয়েছে। আর ইভ্যালির বর্তমান অ্যাকাউন্টে ৩০ লাখ টাকা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি গেটওয়েতে ৩০-৩৫ কোটি রয়েছে, এই টাকাগুলো গ্রাহকদের।গ্রেফতার রাসেল জানান, ২০২১ সাল পর্যন্ত ইভ্যালির দায় ছিল ৪০৩ কোটি টাকা, এর মধ্যে ইভ্যালির সম্পদ ৬৫ কোটি। এই বিপুল পরিমাণ দায়ের ব্যাপারে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রাসেল।
জিজ্ঞাসাবাদে এছাড়াও আরো অনেক ঋণ রয়েছে বলে জানান রাসেল। প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার ঋণে ডুবে আছে ইভ্যালি।
প্রধান নির্বাহী - আরেফিন শাকিল, অফিসঃ নদী বাংলা টাওয়ার, শহীদ বুলু স্টেডিয়াম সংলগ্ন, মাইজদী কোর্ট, নোয়াখালী। ফোনঃ 01303-166473