এনবি নিউজ : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ ব্যাপারে ইতিবাচক মত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। নির্ধারিত কিছু প্রক্রিয়া শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে আদেশ জারি করবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আজ বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, আগের শর্ত অনুযায়ী- বেগম খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মতামত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে। এর আগে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ চার দফায় বাড়ানো হয়েছিল। এবারও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে।
গত ১ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ও শর্ত শিথিলের বিষয়ে সরকারের কাছে তথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন পরিবারের সদস্যরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার এ-সংক্রান্ত আবেদন করেন। এরপর আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় গতকাল তাদের মতামত দিয়েছে।
এর আগে ৩ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আবারও বাড়ানোর আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হবে বলেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এবারের আবেদনে পূর্বের আরোপিত শর্ত শিথিলপূর্বক সাজা মওকুফ করে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের পক্ষ সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তাছাড়া মানবতার দিক থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নেবেন বলে উল্লেখ করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সরকারের নির্বাহী আদেশে প্রথমে ছয় মাসের জন্য শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি পান বেগম খালেদা জিয়া। পরে গত সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানো হয়। মুক্তিতে থাকার সময় খালেদা জিয়া নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন, এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে শর্ত আরোপ করা হয়।
এরপর আরও কয়েক দফায় এই সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। আগামী ২৪ মার্চ সেই মেয়াদ আবারও শেষ হচ্ছে। ৭৫ বছর বয়সী এই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বর্তমানে গুলশানে তার ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ রয়েছেন। তিনি লিভার সিরোসিস এবং আর্থারাইটিসের ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যায় ভুগছেন।
এ টি