সোমবার প্রথম প্রহরে এ কর্মসূচিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে শপথ নেওয়া হয়। নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ ও নারীর জন্য প্রতিটি স্থান ও মুহূর্তকে নিরাপদ করার আন্দোলনকে বেগবান করার প্রত্যাশা জানানো হয়।
এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় মিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, “বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে প্রচুর সমস্যা থাকার পরেও নারীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দেখেছে কী করে করোনার অতিমারীকে প্রবল সাহসিকতা এবং দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করা সম্ভব। তবুও নারীর প্রতি সহিংসতা কমছে না, যা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়।”
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে তিনি সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।আমরাই পারি জোটের চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নে ‘অনেক অগ্রগতি’ ঘটেছে।
কিন্তু নারীর ক্ষমতায়ন এবং সমতায়নের মেলবন্ধন হবার পথে ‘প্রচুর ঘাটতি’ রয়েছে বলেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
“বিভিন্ন প্রকার বৈষম্যমূলক আইনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি, যা নারীর অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাটিকে বাড়িয়ে দেয়।”
‘আমরাই পারি’ জোটের নির্বাহী সমন্বয়কারী জিনাত আরা হকের সঞ্চালনায় জোটের জাতীয় কমিটির সদস্য ফওজিয়া খন্দকার ইভা, শিপা হাফিজা, এমবি আখতারসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং ‘আমরাই পারি’র ৪৮টি জেলার জেলা জোটের আহ্বায়করা অনলাইন কর্মসূচিতে যুক্ত ছিলেন।