নুরুল হক দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
১৯৭২-৭৩ সালে নৌপ্রধানের দায়িত্ব পালন করা নুরুল হকের মৃত্যুতে নৌবাহিনীর সর্বস্তরের সদস্যরা শোক প্রকাশ করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মঙ্গলবার জোহরের পর নৌ সদরদপ্তর মসজিদে নুরুল হকের জানাজা হবে। পরে বনানীর সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।
১৯৩৬ সালের ১২ জানুয়ারি ঢাকার জন্মগ্রহণ করেন নুরুল হক। ১৯৫৩ সালের ১ মে তিনি ক্যাডেট হিসেবে পাকিস্তানের কোয়েটায় প্রি-ক্যাডেট ট্রেইনিং স্কুলে যোগ দেন। পরে ওই বছর অক্টোবরে যোগ দেন পাকিস্তান নেভি ক্যাডেট ট্রেইনিং স্কুলে।
যুক্তরাজ্যের ব্রিটানিয়া রয়্যাল নেভাল কলেজে পেশাগত প্রশিক্ষণ শেষে ১৯৫৭ সালের ১ জানুয়ারি তিনি ব্রিটেন থেকে কমিশন পান।
ব্রিটেনের রয়্যাল নেভাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ১৯৫৮ সালে বেসিক ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স এবং ১৯৬১ সালে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং স্পেশালাইজেশন কোর্স শেষ করেন নুরুল হক।
দীর্ঘ চাকরি জীবনে তিনি বিভিন্ন জাহাজ ও ঘাঁটিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তখনকার পাকিস্তান নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, ডেস্ট্রয়ার জাহাজে ইঞ্জিনিয়ার অফিসার, ঘাঁটির ইঞ্জিনিয়ার অফিসার এবং ট্রেইনিং স্কুলে স্টাফ অফিসার হিসেবে তিনি কাজ করেছেন।
আইএসপিআর জানায়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রথম নৌবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন নুরুল হক। ১৯৭৩ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ওই পদে ছিলেন।
এছাড়া বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান এবং পরে বাংলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
আত/২৬ জানুয়ারি ২০২১