এনবি নিউজ : সরকার সাতটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর ১৫ ডিসেম্বর ‘মুক্তিযুদ্ধ পদক’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তবে ‘মুক্তিযুদ্ধ পদকের’ সংখ্যা বাড়িয়ে সাতের পরিবর্তে ১৫ ক্যাটাগরিতে মুক্তিযোদ্ধা পদক দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। পদকপ্রাপ্তদের ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম সোনার পদকের সঙ্গে একটি রেপ্লিকা এবং দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অব্যবহৃত জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
সংসদ ভবনে আজ অনুষ্ঠিত ‘মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে সভাপেতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শাজাহান খান। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, রাজিউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম, এ বি তাজুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মো. শাজাহান খান বলেন, সরকার যে মুক্তিযুদ্ধ পদকের ঘোষণা দিয়েছে, সেখানে সাতটি ক্যাটাগরি নির্ধারণ করেছে। আমরা এই সংখ্যাটা বাড়াতে বলেছি। প্রতিবছর ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে যাতে পদক দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করতে বলেছে কমিটি।
গত ৯ অগাস্ট মুক্তিযুদ্ধ পদকের কথা জানায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। যে সাতটি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হবে, এগুলো হল- স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনে ভূমিকা, সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা, স্বাধীনতা পরবর্তীকালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে ভূমিকা, মুক্তিযুদ্ধ/ স্বাধীনতা বিষয়ক সাহিত্য রচনা, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্র/তথ্যচিত্র/নাটক নির্মাণ/সংস্কৃতিক কর্মকান্ড, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ক গবেষণা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা পদক নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য ব্যক্তি/ সংস্থা/ প্রতিষ্ঠানকে পদক প্রদানের লক্ষ্যে নির্ধারিত পদক সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য সুপারিশ করা হয়। রাজধানী সুপার মার্কেটের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম এবং মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের অব্যবহৃত জমিসমূহ বিক্রির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ক আলোচনা করা হয়। কমিটি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত যাবতীয় সুযোগ সুবিধা যেন তারা নির্বিঘ্নে পেতে পারেন সে লক্ষ্যে প্রত্যেককে ডিজিটাল সনদ, স্মার্ট পরিচয়পত্র ও একটি পদক দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এ টি