বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে মাস্ক পরানো, হাত ধোয়ানোসহ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। স্কুলে ঢোকার সময় পানির ব্যবস্থা, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, সাবান রাখা বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হবে। শ্রেণিকক্ষে যেন শারীরিক দূরত্ব মানা হয়, বাচ্চাদের প্রতি নজর দেওয়া, মাস্ক ছাড়া কেউ যেন বিদ্যালয়ে না ঢোকে—এসব ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। স্কুলে বিনা মূল্যে মাস্ক দেওয়া যেতে পারে। কারণ, অনেকে মাস্ক আনতে ভুলে যেতে পারে, নোংরা করে ফেলতে পারে। সুতরাং স্কুলে ঢোকার সময় মাস্ক রাখার ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। এখন তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাসের সংখ্যা কম। এ সময় শিক্ষক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে।
করোনার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মানা, আর ডেঙ্গুর জন্য চারপাশ পরিষ্কার রাখা। প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা হাফপ্যান্ট পরে। এতে তো ডেঙ্গুর ঝুঁকি বাড়বে। অভিভাবকদের উচিত এখন ছোট বাচ্চাদের ফুলহাতা শার্ট, প্যান্ট পরে স্কুলে পাঠানো।
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে। ঘরে বন্দী থাকায় অনেকের আচরণে পরিবর্তন এসেছে। বাচ্চাদের মানসিক ও শারীরিক পরিবর্তন এসেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুত্বসুলভ আচরণ করতে হবে। এ সময় পড়াশোনার চাপ হালকা রাখতে হবে। প্রতিদিনের ক্লাসের সঙ্গে করোনাভাইরাস, স্বাস্থ্যবিধি—এসব নিয়ে শিক্ষার্থীদের আলাদা করে ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। শিক্ষার্থীদের কোনো ভয় না দেখিয়ে সচেতন করতে হবে। সহজভাবে তাদের বোঝাতে হবে। বড় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এগুলো বোঝানো সহজ। তবে ছোটদের বেলায় এই বোঝানো কঠিন। তবু বোঝাতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশের সময় তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখা গেলে ভালো হয়। আলাদা একটি রুম নির্ধারণ করে রাখা যেতে পারে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর জ্বর আসে, তাহলে তাকে আলাদা রেখে অভিভাবকদের খবর দিয়ে তাকে বাসায় পাঠানো যেতে পারে। বিষয়টি নজরে রাখতে হবে। স্কুল, কলেজে আইসোলেশন রুম (বিচ্ছিন্ন রাখার কক্ষ) রাখা, চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী রাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা যাতে পাওয়া যায়, এমন ব্যবস্থা রাখা গেলে ভালো হতো।