এনবি নিউজ : ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আপসে প্রস্তুত রয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন পুতিন। সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়। পশ্চিমাদের প্রস্তাব ভেবে দেখতে চান বলেও জানান ভ্লাদিমির পুতিন।
অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেখানে বাইডেন বলেন, ‘ইউক্রেনে হামলা চালালে ইউরোপের সঙ্গে রাশিয়ার গ্যাসপাইপলাইন বিচ্ছিন্ন করা হবে।’
যদিও এতে সায় দেননি জার্মানির চ্যান্সেলর। তবে রাশিয়া হামলা চালালে একযোগে জবাব দেওয়ার বিষয়ে দৃঢ় মত ব্যক্ত করেন তিনি।
ক্রেমলিনে সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘সবার জন্য ঠিকঠাক হয়, এমন আপোসের জায়গায় পৌঁছাতে আমরা সব করব।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি পুতিন। যদিও এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আজ মঙ্গলবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি’র সঙ্গে সাক্ষাত করবেন। এরপর ফোনে ম্যাক্রোঁ’র সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান পুতিন।
ক্রেমলিনে সংবাদ সম্মেলনে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘তিনি (পুতিন) রাশিয়া এবং পশ্চিমের জন্য যুতসই হয় এমন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছেন।’
ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘আলোচনায় যুক্ত হওয়ার বিষয়ে সম্মতির কথা আমাকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। যেখানে রুশদের নিরাপত্তা না থাকলে ইউরোপীয়দেরও নিরাপত্তা থাকবে না।’
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে কোনো দিক থেকেই সামরিক পদক্ষেপ না নেওয়া এবং এই ইস্যুতে কৌশল ঠিক করতে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
স্নায়ুযুদ্ধের পর আর কখনোই পশ্চিমের সঙ্গে রাশিয়ার মধ্যকার সম্পর্কে এতটা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়নি। ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এখনো রাশিয়ার লাখখানেক সেনা মোতায়েন রয়েছে। সেখানে ট্যাংক, গোলাবারুদ ও যুদ্ধাস্ত্রও পাঠিয়েছে মস্কো। তবে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের ক্রিমিয়া উপত্যাকা দখল করে নেয়। এ ঘটনার আট বছরে ক্রিমিয়া সংঘাতে ১৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। ওই এলাকায় বিদ্রোহীদের মদত দিয়ে আসছে রাশিয়া। এখন আবার রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।