এনবি নিউজ : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই ইভিএম চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
রবিবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপকালে লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বিশ্ব এখনও অনেক এগিয়ে যাচ্ছে। আমরাও পিছিয়ে থাকতে চাই না। আগামী নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, অনিয়ম, কারচুপি বন্ধে ৩০০ আসনেই ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। বিএনপি-জামায়াত ইভিএম ইস্যুতে নানা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারা যে সমস্ত কথাবার্তা বলছে তা সব মিথ্যা। মূলত এদেশে একমাত্র আওয়ামী লীগের পক্ষেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আমলে ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার তারা প্রণয়ন করেছিল। হাওয়া ভবনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে ৩ শতাধিক লোককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। যাদের কেউ কেউ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হয়েছেন কিংবা হওয়ার পথে। এ সব বিষয়েও নির্বাচন কমিশনকে সচেতন থাকতে হবে। ইভিএমে প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা থাকলেও তা আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করি।’
আগামী নির্বাচনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং সংস্থা নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
আজ রবিবার বিকালে নির্বাচনে কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বসেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
ইসির সংলাপে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, শাহাবুদ্দিন চুপ্পু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরুল্লাহ, আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ অন্যরা।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের প্রায় দেড় বছর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। গত ১৭ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ইসির সংলাপে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ইসির এই সংলাপ বর্জন করেছে। ১১ দিনব্যাপী ইসির সংলাপে ৩৯ দলের মধ্যে ৯টি দল সংলাপ বর্জন করেছে। ইতিমধ্যেই ২৬টি দল সংলাপে অংশ নিযেছে।
এ টি