এনবি নিউজ : দেশের ভেতরে অনেকে শুধু মূল্যস্ফীতির কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকারের সতর্কতামূলক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বাংলাদেশের অবস্থা তুলনামূলকভাবে সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।’
যারা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে দেখতে চায়, উন্নয়নবিরোধী এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রতিভূ, তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার সকালে সচিবালয়ে তার দপ্তরে ব্রিফিংকালে দেশবাসীর প্রতি তিনি এ আহবান জানান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক অবরোধ, আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস, সারের মূল্যবৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার নানামুখী সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ অসহনীয় এবং আকাশচুম্বী মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের মূল্যস্ফীতির হারের দিকে তাকালে বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটের তীব্রতা টের পাওয়া যায়।’
দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট চলছে বলে একটি চিহ্নিত মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার করছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, – প্রকৃতপক্ষে বৈশ্বিক করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এ সময়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর জ্বালানি সাপ্লাই চেইন অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে।’
পৃথিবীর প্রায় ৯০ শতাংশের বেশি দেশ প্রাথমিক জ্বালানির জন্য আমদানির ওপর নির্ভরশীল এমনটা জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘আমদানিকারক দেশ হিসেবে এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে পশ্চিমা দেশগুলোসহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশেই চলছে জ্বালানি সংকট। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য তারা ব্যাপকভাবে কমিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার।’
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নেতিবাচক পড়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের ব্রিফিংকালে আরও বলেন, ‘অনেক উন্নত দেশেও বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে, এর অনিবার্য প্রভাব পড়েছে অর্থনীতি এবং উৎপাদন ব্যবস্থায়।’
এ টি