হর্ষবর্ধন জানান, ভারত মেডিকেল ভিসা প্রদান শুরু করেছে এবং দ্রুত ই–পর্যটন ভিসা চালু করবে। মূলত চিকিৎসা ভ্রমণ বাড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। করোনার কারণে দেশটিতে ব্যাপকভাবে কমে গেছে চিকিৎসা ভ্রমণ। দ্য মিন্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, উন্নত স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা বিশ্বে ভারতের চিকিৎসা পর্যটনের চাহিদা বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ভারত বরাবরই একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র, তবে কয়েক বছর ধরে এটি চিকিৎসা পর্যটনের জন্য একটি শীর্ষস্থান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ভারতে স্বাস্থ্যসেবা শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে, যা বিশ্বের অন্যতম সেরাদের তুলনীয়। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় বিশ্বমানের চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকেল স্টাফ তৈরি হচ্ছে, যা এখন বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত। এমনকি অনেক জায়গায় ভারতকে বিশ্বের ফার্মাসি বলা হয়। ভারত ওষুধের অন্যতম বৃহৎ প্রস্তুতকারক দেশ এবং বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিনের একটি বড় অংশ সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসা পর্যটনকে আরও উৎসাহিত করার জন্য আমরা ইতিমধ্যে মেডিকেল ভিসা প্রদান শুরু করেছি এবং শিগগিরই ই-পর্যটন ভিসার পাশাপাশি নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বিমানগুলো পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা করেছি।’
কোভিড-১৯ মহামারিটি আগে ২০২০ সালের মধ্যে ভারতের চিকিৎসা পর্যটন শিল্প ৯০০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে আশা করা হয়েছিল। তবে করোনার কারণে দেশে দেশে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়। বিশ্বজুড়ে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পর্যটন ভিসার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।