প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার সকালে উত্তরার দিয়াবাড়ি স্টেশন সংলগ্ন উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ব্লক সি-১ এর খেলার মাঠে সুধীসমাবেশে এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মেট্রোরেল বাংলাদেশের জিডিপিতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও আমাদের দেশে দক্ষ জনশক্তি গড়ে উঠবে। দৈনিক যাতায়াতে সময় নষ্ট হবে না। এর মাধ্যমে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এতে নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
সমাবেশে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর ছোটবোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ মন্ত্রিসভার সদস্য, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশ রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিক মিশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার পদস্থ ব্যক্তিরা অংশ নেন।
নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনের সুযোগ দেওয়ায় দেশবাসীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসময় আরও বলেন, জনগণই আমাদের শক্তি। জনগণই আমাদের সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়ন করার সুযোগ করে দিয়েছে।
মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত দেশিবিদেশি সকল স্তরের শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের এবং অর্থ যোগানদাতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে সারা বিশ্বে আমরা এক গৌরবময় জাতির মর্যাদা লাভ করেছি। মেট্রোরেলের মাধ্যমে আমরা মর্যাদায় নতুন মাত্রা সংযোজিত হলো।
মেট্রোরেলের স্টেশনগুলো ও রেলের কোচগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার আনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এগুলো আমাদের সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। মর্যাদা ধরে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
রাজধানীর যানজটের কারণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের উন্নতি হচ্ছে। মানুষের ক্রয়-ক্ষমতা বেড়েছে। এরসঙ্গে পাল্লা দিয়ে যানজটও বেড়েছে। আমাদের আগামীর বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।