এনবি নিউজ : বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা ভোট দিতে না আসায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়েছেন।
সমিতির সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত প্যানেলের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির এবং সম্পাদক হিসেবে একই প্যানেলের আব্দুন নুর দুলাল পুর্নর্নিবাচিত হয়েছেন।
ব্যাপক হাঙ্গামা, হট্টগোল, পুলিশের পিটুনির মধ্যে বুধবার ও বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ হয়।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক মো. মনিরুজ্জামান ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির পেয়েছেন ৩৭২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন পেয়েছেন ২৯৩ ভোট। আরেক প্রার্থী মো. ইউনুস আলী আকন্দ পেয়েছেন ৫২ ভোট।
অপরদিকে সম্পাদক পদে আব্দুন নুর দুলাল পেয়েছেন ৩৭৪১ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের রুহুল কুদ্দুস কাজল পেয়েছেন ৩০৯ ভোট।
সমিতির বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির ১৪টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সম্পাদকসহ সাতটি পদে রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীরা। আর সহ-সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ অপর সাতটি পদে আছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।
এবার নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা না দিলেও সংঘর্ষ আর গণ্ডগোলের পর ভোট দিতে আসেনি বিএনপির আইনজীবীরা।
বিজয়ী অন্য প্রার্থীরা হলেন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী আজম ও জেসমিন সুলতানা, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ আলম চৌধুরী, সহ-সম্পাদক নুরে আলম উজ্জ্বল ও হারুনুর রশিদ।
কার্যনির্বাহী সাত সদস্য হলেন মো. সাফায়েত হোসেন সজীব, মহিউদ্দিন রুদ্র, শফিক রায়হান শাওন, সুভাষ চন্দ্র দাস, নাজমুল হোসেন স্বপন, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মনিরুজ্জামান রানা।
বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলেন মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গত সোমবার নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপ কমিটির আহ্বায়ক মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। দুপক্ষের সম্মতিতে মনসুরুল হক চৌধুরীকে আহ্বায়ক করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। বুধবার ব্যাপক হাঙ্গামা, হট্ট্রগাল, পুলিশের লাঠিপেটার মধ্যে নির্বাচনেভোটগ্রহণ শুরু হয় দুই ঘন্টা দেরিতে ১২টার পর। বৃহস্পতিবারও হট্টগোল, হইচই হয়। তবে আগের দিনের মতো উত্তাপ ছড়ায়নি।
নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিতরা ভোটদানে বিরত থাকেন। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেননি। তারা বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মধ্যে নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করে পুনরায় ভোটের দাবি জানান।