এনবি নিউজ : বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা অপরাজনীতি করে খাটো হয়েছেন, দেশকে খাটো করবেন না। শেখ হাসিনা নালিশ করতে যায়নি, দেশের অর্জনের জন্য গিয়েছেন। শেখ হাসিনাকে এই বিদেশ সফর ও অর্জনের জন্য সংবর্ধনা দেওয়া উচিত।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা জাতীয় সম্মিলিত শান্তি শোভাযাত্রা ও সম্প্রীতি উৎসবে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন দেশ সফর নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বলছে শেখ হাসিনা কিছুই আনতে পারেননি, খালি হাতে ফিরবেন। মনটা যাদের ছোট, তাদের রাজনীতি করা উচিত নয়। দেশের অর্জনকে যারা নিজেদের মনে করে না, তাদের রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই, সন্ত্রাস চাই না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সন্ত্রাসকে রুখতে হবে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের এ উৎসবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সবাই মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। গৌতম বুদ্ধ শান্তির বাণী প্রচার করে গেছেন।
সমাজে শান্তির সুবাতাস আনতে রাজনীতির অধিপতিদের দায়িত্ব নিতে হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হিংসা-হানাহানি, যুদ্ধ-বিদ্রোহ বা সহিংসতা নয়, শান্তির পথ দেখাতে হবে। যুদ্ধবিগ্রহের বিশ্বে সম্প্রীতির সুবাতাস যেন বইতে পারে, সে পরিবেশ তৈরির দায়িত্বও রাজনীতির অধিপতিদের।
একাত্তরে ‘রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করার’ কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হয়েছে। আমাদের রাজনীতি হিংসামুক্ত, সেই দাবি করতে পারি না। রাজনীতিতে নষ্ট ধারা এখনও প্রবাহিত। শান্তির রাজনীতি পদে পদে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু থেকে মুখ ফিরিয়ে দিয়েছিল। আজ তারা ভুল স্বীকার করে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা দিয়েছে। ২৫ হাজার কোটি টাকা বাজেট সহায়তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, থাইল্যান্ড ও চীনা দূতাবাসের প্রতিনিধিসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতারা।
পরে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শাহবাগ থেকে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়।
এ টি