এনবি নিউজ : বিএনপির আন্দোলনের রঙ-রূপ এদেশের মানুষের অজানা নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কোনো যুৎসই ইস্যু খুঁজে না পেয়ে বিএনপি ঠুনকো ইস্যু নিয়ে মাঠ গরমের অপচেষ্টা করছে।’
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল শুক্রবার সকালে তাঁর সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।
বিএনপির নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপিকে এ নিয়ে দাবি-দাওয়া পেশ করতে হবে না।’
নির্বাচনে জনগণের রায় মেনে নেওয়ার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির উদ্দেশ্যহীন এবং ভুল রাজনীতিতে কর্মীরাই এখন তাদের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ। বিএনপির আন্দোলনের মৌসুমি হাঁক-ডাক নেতাদের ওপর কর্মীদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা মাত্র।’
ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন করেছে—বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো আইনের বলে নয়, শেখ হাসিনার সরকার টিকে আছে জনমানুষের আস্থা ও ভালোবাসায়। ক্ষমতা দেওয়ার মালিক সৃষ্টিকর্তা আর দেশের জনগণ।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সরকার যে কোনো আইন প্রণয়ন করে জনস্বার্থে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটির আইনগত কাঠামো রয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা মানে অন্যের অধিকার হরণ নয়, খেয়াল-খুশি মতো লেখা বা বলা নয়। বলা বা লেখার ক্ষেত্রে সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা থাকলে আইন কোনো বাধা নয়। তারপরও আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয়, সেজন্য শেখ হাসিনার সরকার এরই মধ্যে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘বিএনপি রাজনৈতিক দলের চরিত্র হারিয়ে এখন গুজব পার্টিতে পরিণত হয়েছে। গুজব ও অপপ্রচারই তাদের একমাত্র ভরসা। সেজন্যই বিএনপি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের বিরোধিতা করে প্রকারান্তরে আধুনিক প্রযুক্তির বিরোধিতা করছে।’
অপপ্রচার চালানো আর জনগণের কাছ থেকে নিজেদের আড়াল করে রাখা বিএনপির স্বভাব উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণ বিএনপির কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’
সরকার পরিচালনাকে শেখ হাসিনা জনসেবা ও দেশসেবার পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে দেখেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির কাছে ক্ষমতা মানে দেশ ও জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন। বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু। তাই তাদের আমলে ভোগের পেয়ালা উপচে পড়েছিল।